শিরোনাম
মমেক হাসপাতালে দালাল চক্র নিরসনে মোবাইল কোর্টে গ্রেপ্তার ১৮ জনকে সাজা প্রদান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১০২ পিস ইয়াবাসহ মাদক সম্রাট সুজনকে আটক করেছে পুলিশ দেবিদ্বারে খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন: অভিভাবক সদস্য পদে জাহাঙ্গীর আলমের ব্যালট নম্বর ৪ মানবিক সংগঠন “মানবিক কুমিল্লা” উদ্যোগে শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র পরিবারে মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ রংপুরে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির প্রচারাভিযান গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন জোট গঠন এর ঘোষণা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ২শত কোটি টাকার ১৮৩ প্রকল্প অনুমোদনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পেশাদারিত্বের ঘাটতি ও চরম অদক্ষতা ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ যেন উজিরে খামাখা? ভেঙে পরেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি  ঠাকুরগাঁওয়ে বিএডিসি বীজ ডিলারদের সার ডিলার হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বুড়িচংয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা

পেশাদারিত্বের ঘাটতি ও চরম অদক্ষতা ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ যেন উজিরে খামাখা? ভেঙে পরেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি 

Juyel Khandokar

সিনিয়র রিপোর্টার বিশাল রহমান :-  সাম্প্রতিক সময়ে ঠাকুরগাঁও জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।শান্তির জনপদ হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাঁও জেলায় চুরি, ডাকাতি,ছিনতাইসহ নানাবিধ অপরাধমুলক কার্যক্রম আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা পুলিশের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলার সাধারণ মানুষ। অনুসন্ধানে জানা গেছে বিগত কয়েকমাসে জেলাব্যাপী অপরাধের মাত্রার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর জন্য সাধারণ মানুষ দাবি তুলেছেন।

ঘটনা এক : ঠাকুরগাঁওয়ে হোটেল থেকে ভোরে বেরিয়ে নিখোঁজ তিন ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি ৪৯ দিনেও….
ঠাকুরগাঁওয়ে তিন মাদরাসা ছাত্রীর নিখোঁজের ঘটনায় রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ৪৯ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজের দিন রাতেই তারা ঠাকুরগাঁও শহরের রোড এলাকার এক আবাসিক হোটেলে ওঠে। কিন্তু ভোরের আগেই হোটেল ত্যাগ করে অদৃশ্য হয়ে যায় তিনজন। এরপর থেকেই আর কোনো খোঁজ মেলেনি তাদের। এ ঘটনায় (৯ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
তবে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্তানদের সন্ধান না পেয়ে মা-বাবার আহাজারি যেন থামছেই না। তারা প্রতিনিয়তই লিফলেট হাতে নিয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন। তবুও মিলছে না কোনো সান্ত্বনা কিংবা নিশ্চিত খবর।

নিখোঁজ ছাত্রীরা হলেন-দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মুরারিপূর গ্রামের শাহজালালের মেয়ে জুঁই (১৪), একই উপজেলার গণকপয়েনর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস তামান্না (১৬) ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দ নগর এলাকার বাসিন্দা রবিউলের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা (১৩)। তারা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর মাদরাসা পাড়া এলাকায় অবস্থিত ‘আয়শা সিদ্দিকা’ বালিকা মাদরাসার ছাত্রী।
মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১২টায় সর্বশেষ মাদরাসায় দেখা যায় নিখোঁজ তিন ছাত্রীকে। ভোর ৫টার সময় তাদের ডাকতে তাদের রুমে গেলে তাদের আর পাওয়া যায়নি। পরে মাদরাসার দোতলার বারান্দায় মশারি ঝুলন্ত অবস্থায় বাধা দেখতে পেয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ধারণা করেন তারা পালিয়েছে।
শহরের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, নিখোঁজ তিন ছাত্রী রাত ১টার সময় একটি রিকশা করে প্রথমে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডে যান। এরপর রিকশা বদল করে তারা ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে যান। তবে সেই রাতে কোনো ট্রেন না পেয়ে রোড আবাসিক হোটেলে ভোর ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করেন। পরে হোটেল ম্যানেজারের সাহায্যে তারা স্টেশনে গিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করে রোড অটোস্ট্যান্ডে ফিরে যান এবং ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে একটি অটোরিকশা নিয়ে রওনা হন। এরপর থেকেই তাদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি।

এবিষয়ে রোড আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ইমন বলেন, রাত ২টার দিকে তিনজন মেয়ে এসে বলেন তারা হোটেলে কিছুক্ষণ থাকবেন এরপর ভোর রাতেই আবার বেরিয়ে যাবেন পরে আমি তাদের ব্যাগ নিয়ে গাড়িতে তুলে দেয়। তবে যারা ঐ হোটেল রাত্রিযাপন করেন তাদের নাম ঠিকানা তাদের রেজিস্ট্রার খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় না বলে অভিযোগ ওঠে হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
নিখোঁজদের পরিবার বলছে, আমরা থানায় গিয়েছি, প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি, কিন্তু কোনো সুরাহা হচ্ছে না। পুলিশ শুধু বলছে তদন্ত চলছে। ৪৯দিনেও মেয়েদের খোঁজ না মেলায় আমরা হতাশ। আমাদের মেয়েরা কি করছে, কিভাবে আছে আল্লাহই ভালো জানে। আমরা আমাদের সন্তানদের ফেরত চাই।

নিখোঁজ তামান্নার মা আখলিমা বেগম বলেন, মাদরাসায় অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। তবুও কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসা ভবনে কোনো প্রকার নিরাপত্তা প্রহরী রাখেনি। তাদের ভবনের বারান্দায় কোনো গ্রিল নেই, ফলে সহজেই কেউ চাইলে ভবনের ভেতরে বা ভবন থেকে বাইরে যেতে পারছে। আমরা তো আমাদের মেয়েদের তাদের ভরসায় সেখানে রেখেছিলাম।

নিখোঁজ আয়শার বোন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মারধর করে নির্যাতন করতো। আমার বোন নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন আগে আমাদের এই নির্যাতনের কথা জানিয়েছিল এবং দ্রুতই সেখান থেকে নিয়ে আসতে বলেছিল। তবে আমরা নিয়ে আসিনি, যার ফলে আজ আমার বোনকে হারাতে হলো। আমি নিশ্চিত, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত নির্যাতনের কারণে এই তিন মেয়ে পালিয়ে গেছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার দায় স্বীকার করে আয়শা সিদ্দিকা মাদরাসার প্রধান শিক্ষিকা হামিদা বেগম বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি এত তাড়াতাড়ি এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবে। আমরা মাদরাসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছিলাম। তবে আমার বিরুদ্ধে যে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা ভিত্তিহীন। আমরা তাদের খুজছি।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এরইমধ্যে প্রশাসনের কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। পুলিশের পক্ষে থেকে কোন গাফিলতি নেই।
আর জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ওই তিন ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর পরই পুলিশ সুপার সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তাদের খুঁজে বের করার। আশা করছি দ্রুতই তারা পরিবারের কাছে ফিরবে। এদিকে নিখোঁজের পর থেকে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষসহ আবাসিক হোটেলের লোকদের আটকের দাবি উঠলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে নিরব রয়েছে পুলিশ। এদিকে ঘটনাটি নিয়ে গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হৈ চৈ শুরু হলে তড়িঘড়ি করে গতকাল আবাসিক হোটেলটি সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। তবে আয়েশা সিদ্দিকা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ তিন ছাত্রীর অভিভাবক সাথে কথা বলে জানা গেছে তাঁরা ঘটনার পরদিন থেকে আবাসিক হোটেলের মালিক ও আয়েশা সিদ্দিকা মাদ্রাসার পরিচালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানালেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে নিরব রয়েছে। এদিকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে যে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিতরা আবাসিক হোটেল ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে দায়সারা তদন্ত করে কালক্ষেপণ করছেন।

শহরে চুরি ডাকাতি যেন দুধভাত: বিগত ছয়মাসে ঠাকুরগাঁও পৌরসভাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক চুরি,ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো দুঃসাহসিক অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড হলেও পুলিশ এ ঘটনাগুলো এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে গড়িমসি করেন।ঠাকুরগাঁও শহরের হাজিপাড়া ও ইসলামবাগে বিগত একমাসে এরকম দুটি ঘটনা ঘটলেও সিসিটিভি ফুটেজে আসামিদের শনাক্ত করার পরেও এদের গ্রেফতার করতে পারেনি দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা। ইজিবাইক ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম সহ্য সীমার বাহিরে চলে গেলেও জেলার পুলিশ বিভাগ কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে। শহরের বাসা বাড়ীর বৈদ্যুতিক সার্ভিস তাঁর চুরির মহোৎসব চললেও নেই কোন প্রতিকার।এসব অপরাধের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব বিষয়ে মামলা নিয়ে গেলে পুলিশ একটা অভিযোগ নেয় ঠিকই কিন্তু কোন কপি অভিযোগকারীকে প্রদান করেন না।

বাইক চোর আর পুলিশ যেন মামাতো ফুপাতো ভাই : গুটি কয়েক বাইকচোর পুলিশের সাথে সিন্ডিকেট করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা জেলা। এ জেলায় বাইক চুরি হওয়ার পর চোরদের সিন্ডিকেট বাইকের মালিককে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের কথামত মুক্তিপণ দিলে মালিককে বাইক ফিরিয়ে দেওয়া হয়।না দিল বাইক আর কস্মিনকালেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়না।মাঝে মাঝে লোক দেখানো দু’একজন আটক হলেও আদালত থেকে জামিনে এসে তাঁরা আবারও নতুন উদ্যোমে বাইক চুরিতে নেমে পরে।

হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক: ঠাকুরগাঁও পৌর শহরসহ জেলার সর্বত্রই মাদকের অবাধ কেনা বেচা চললেও বাঁধা দেওয়ার কেউই নেই। ঠাকুরগাঁও শহরের চিহ্নিত কিছু এলাকাসহ জেলার পীরগন্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাংগী ও হরিপুর উপজেলায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। আট চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে চালাচ্ছে বালিয়াডাংগী থানার মাদক ব্যবসা। এরকম অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জেলার হরিপুর উপজেলার চৌরংগী,আমগা, জামুন, ধীরগন্জের মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সখ্যতা ওপেন সিক্রেট। জেলার মাদক বিক্রেতাদের দৌরাত্ম্য এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বিভিন্ন এলাকায় মানুষ নিজ উদ্যোগে মাদক বিক্রেতাদের পুলিশে ধরিয়ে দিচ্ছে। এলাকার বিষ ফোঁড়া ক্যাসিনো ও অনলাইন জুয়া : ঠাকুরগাঁও জেলার গ্রামগন্জসহ সর্বত্র অনলাইন জুয়া তথা ক্যাসিনো আসক্তি মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেছে। লাখ লাখ টাকা জুয়ায় হেরে গিয়ে বিগত কয়েকমাসে বেশ কয়েকজন তরুনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে শুধুমাত্র পুলিশের দক্ষতার অভাবে অবাধে চলছে এই মারাত্মক অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড।

এলাকার মানুষের ভাবনা: ঠাকুরগাঁওয়ের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি নিয়ে কথা হয় বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সমাজ চিন্তক আজমত রানার সাথে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই দীর্ঘ জীবনে এরকম অবস্থা দেখিনি।

একটি মাদ্রাসা থেকে তিনজন ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ দিন পরেও যখন পুলিশ কোন ক্লু পায়না তখন বুঝতে সক্ষম হই যে, ডালমে কুচ কালা হ্যায়? তিনি বলেন আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এরকম একটা ঘটনা উদঘাটনে পুলিশের উদাসীনতা আমাদের ক্ষুব্ধ হতে বাধ্য করে। তিনি জেলাব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বলেন, অতীতে এরকম অবস্থা এই শান্তির জনপদে কখনো দেখা যায়নি।
ঠাকুরগাঁও জেলা সিপিবির নেতা আহসানুল হাবিব বাবু বলেন, মাদক, ক্যাসিনোর কারণে চুরি ডাকাতিসহ অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে ধরে কারাগারে আটকে রাখলে এমনিতেই চুরি ডাকাতি ছিনতাইয়ের ঘটনা কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সখ্যতা অথবা নমনীয়তা কোনভাবেই কাম্য নয়। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাংগীর উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, বালিয়াডাংগী উপজেলায় ক্যাসিনো, মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসাটা চলে পুলিশের মদদে।

এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের সিনিয়র সাংবাদিক কামরুল হাসান সাম্প্রতিক সময়ে জেলা শহরসহ সর্বত্র অজ্ঞান করে ইজি বাইক ছিনতাই, চুরি ডাকাতির ঘটনা রোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, অতীতে এরকম ঘটনা দেখিনি। একটা মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন ছাত্রী ৪৯ দিনে উদ্ধার না হওয়ার ঘটনায় তিনি জেলা পুলিশের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এরকম তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কি দরকার?
৪৯ দিনেও নিখোঁজ তিন মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করতে না পারার ঘটনাটি নিয়ে জেলার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন। যে কোন সময়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে পুলিশের রহস্যজনক নিস্ক্রিয়তার বিষয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

নিখোঁজ তিন মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের এবং জেলায় ঘটে যাওয়া অপরাধের ভিক্টিমদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে এ জেলার পুলিশের আচরণে নেই কোন পেশাদারিত্ব। এত দুঃসাহসিক অপরাধ ঘটার পরেও অধিকাংশ ঘটনার ক্লু দিনের পর দিন,মাসের পর মাস ক্লু লেস ক্রাইম হিসেবে ধামাচাপা দিচ্ছে জেলার পুলিশ। এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দৈনিক দেশপত্রের পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা পুলিশের উজিরে খামাখা কর্তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশকে ঢেলে সাজানোর জোরালো দাবি জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষের।

Leave a Reply