শিরোনাম
সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার আসামি দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নাশকতার মামলায় জাকির গ্রেফতার তুহিনসহ সকল সাংবাদিক হত্যা নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে: শিবলী সাদিক খান সাংবাদিক সুরক্ষা আইন চাই: সোহাগ আরেফিন অপছন্দের ল্যাবে পরীক্ষা: চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিলেন চিকিৎসক প্রতিবন্ধী দত্তক কন্যাকে ধর্ষণ, বাবা গ্রেফতার তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে নবীনগর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দিয়ে জাতিকে আর বিভক্ত করা যাবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ সারাদেশে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু রোববার এবার গাজীপুরে ব্রিজের নিচে মিলল নারীর লাশ

অপছন্দের ল্যাবে পরীক্ষা: চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিলেন চিকিৎসক

S M Rashed Hassan

এম এ সালাম রুবেল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

অপছন্দের প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করানোয় গর্ভবতী এক নারীর চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আইরিস রহমানের বিরুদ্ধে।

শনিবার (৯ আগস্ট) ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ওই রোগীর সাথে এমন আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।ভুক্তভোগী প্রসূতি নারীর নাম সোহাগী আক্তার। তিনি ঠাকুরগাঁ সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। বর্তমান তিনি ‍ওই হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, অপছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি ল্যাব থেকে পরীক্ষা করানোর কারণেই চিকিৎসকের এমন অমানবিক আচরণের শিকার হয়েছেন তারা।

ভুক্তভোগীর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুর্ভাগ্যবশত রাতেই তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানটি মারা যায়।

পরে ককর্তব্যরত চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ শেষে কিছু টেস্ট দেন। তিনি বাহিরের একটি ল্যাব থেকে টেস্টগুলো সম্পন্ন করেন। এতেই বাধে বিপত্তি। গর্ভে সন্তান মারা যাওয়ার পর আমার স্ত্রীর শরীর খুব দুর্বল হয়ে পরে। তার রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছিল। স্যালাইনও চলছিল। এরই মধ্যে শনিবার সকালে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মোছা: আইরিস রহমান রাউন্ডে আসেন। তিনি রোগীর ফাইল হাতে নিয়ে দেখেন, হাসপাতালের পাশেই ‘নিউক্লিয়ার ল্যাব’ থেকে কিছু টেস্ট করিয়েছেন । তা দেখেই তিনি রেগে আগুন হয়ে যান।

জাহাঙ্গীর ডাক্তারের বরাদ দিয়ে বলেন, ‘কিয়ামত হলেও এই রোগীর এখানে কোন চিকিৎসা হবে না। আমাদের অপরাধ আমরা টেস্টগুলো বাহিরের ল্যাবে করিয়েছি।তিনি আরো বলেন, ‘‘টেস্টগুলো হাতে নিয়ে ডাক্তার তখন চিৎকার করে বলতে থাকেন এই রিপোর্ট কে করিয়েছে? এই রোগীর চিকিৎসা এখানে হবে না।’ এই কথা বলেই তিনি আমার স্ত্রীর হাতে লাগানো রক্তের লাইন, স্যালাইনের ক্যানুলা টেনে খুলে ফেলেন। আমরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি, রাতে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ থাকায় এবং অন্য কোনো উপায় না পেয়ে আমরা বাইরে থেকে পরীক্ষাগুলো করাতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু তিনি কোনো কথাই শোনেননি।এই যদি হয় চিকিৎসকের ব্যবহার তাহলে সরকারি হাসপাতালে তার কাছ থেকে সেবা পাবে কিভাবে। বিষয়টি খুতিয়ে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধতনদের কাছে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন রোগীর স্বজনরা।

পাশে থাকা রোগী ও স্বজনরা জানান, ‘আমরা সবাই দেখলাম ডাক্তার এসে তাদের সঙ্গে খুব রাগারাগি করলেন। রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করে দিলেন তিনি। কারণটা নাকি বাইরের রিপোর্ট। একজন ডাক্তার এমনটা করতে পারেন, তা আমাদের ধারণারও বাইরে। তারা আরো বলেন এর আগেও এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে পেপারে অনেক রিপোর্ট ছাপা হয়েছে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি বলেই রোগীর সাথে খারাপ আচরনের মাত্রা বেড়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। একই সাথে এ হাসপাতালে তিনি ছাড়া স্থানীয় চিকিৎসকরা বছরের পর বছর চাকুরি করায় সিন্ডিকেট করছে। বদলি হওয়াটাও জরুরি।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চিকিৎসক মোছা. আইরিস রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোন কিছুই বলতে রাজি হয়নি তিনি।

আর এ বিষয়ে সিভিল সার্জন আনিছুর রহমান জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। রোগীর স্বজনরা লিখিত অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখে।ব্যবস্থা গ্রহণ নেয়া হবে।

Leave a Reply