নিজস্ব প্রতিনিধি:- নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা বাজারে সংঘটিত সেনাসদস্য মাহমুদুরকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে জলঢাকা থানা পুলিশ। সেনাসদস্য মাহমুদুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাই জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০’০০ টার দিকে সেনাসদস্য মাহমুদুর রহমান ব্যাক্তিগত কাজে গোলমুন্ডা বাজারে এলে গোলমুন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মে. হেলাল উদ্দিন, নীলফামারী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নির্বাহী সদস্য মেহেূী হাসান, ছাত্রদল কর্মী সাকিব হাসান সহ আরও ১০/ ১২ জন সেনাসদস্য মাহমুদুরকে বাজার সংলগ্ন তথাকথিত আবু সাঈদ ক্লাবে ডেকে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে তাঁকে সমকামি আখ্যা দিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তার মেসেঞ্জার চেক করতে থাকলে মাহমুদুর এতে বাধা প্রদান করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। হেলালের নেতৃত্বে অন্যান্যরা সেনাসদস্য মাহমুদুরকে রশি দিয়ে বেঁধে বেদম মারপিট করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক হলে মাহমুদুরকে স্থানীয় চিকিৎসক ডা. সিহাবের চেম্বারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা চলাচালীন মাহমুদুরের গ্রামের লোকজন এসে ডা. সিহাবের চেম্বার ঘেরাও করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জলঢাকা থানা পুলিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ব্যাপক প্রচেষ্টা চালায় কিন্ত সেনাসদস্য মাহমুদুরের গ্রামের কিছু উগ্র তরুনের উস্কানিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আরজু মেহাম্মদ সাজ্জাদ সেনাবাহিনীকে জানালে বিকাল ৪’০০ টার দিকে সেনাবাহিনীট একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে অবরুদ্ধ পল্লী চিকিৎসক ডা. সুহাব সহ ছাত্রদল নেতা হেলাল, মেহেদী, রাকিবকে গ্রেফতার করে জলঢাকা থানায় সোপর্দ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মামলা দিয়ে কের্টে প্রেরন করা হয়েছে।
গতকালকের ঘটনার অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা হেলাল উদ্দিন এই প্রতিবেদককে জানান যে, সেনাসদস্য মাহমুদুর ফেসবুকে ফেইক একাউন্ট খুলে দীর্ঘদিন যাবত তাঁকে সহ ক্লাবের অন্যান্যদেরকে সমকামিতায় উদ্বুদ্ধ করে মেসেঞ্জার ও হেয়াটসআ্যাপে বিরক্ত করছিলো। তাঁকে ধরার জন্যে আমরা ফাঁদ পাতি ও আজকে তাঁকে ধরতে সক্ষম হই। তাঁকে ধরার পরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে কিছু হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সেনাসদস্য মাহমুদুরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে প্রথমে এড়িয়ে যেতে চাইলেও পরে জানায় যে সে সমকামিদের ধরার জন্যেই তাদের গ্রুপে যোগ দিয়েছিলো। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।