সিনিয়র রিপোর্টার বিশাল রহমান :- সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ঘোষিত লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে ঠাকুরগাঁও জেলার সাতটি থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নামে চলছে তুঘলকি কান্ড।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আওয়ামী লীগের রাঘব বোয়ালদের বাদ দিয়ে গ্রাম গঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার প্রান্তিক পর্যায়ের নীরিহ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের গ্রেফতার করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে পুলিশ। গত কয়েকদিনে জেলার পীরগন্জ, হরিপুর, রাণীশংকৈল, সদর ও ভূল্লী থানায় গ্রেফতারকৃতদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। রাণীশংকৈল থানায় এনামুল @ একরামুল নামক জনৈক আওয়ামী লীগ সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী জানায় পেশায় টাইলস মিস্ত্রি একরামুল আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কস্মিনকালেও কোন রাজনৈতিক অপকর্মের নজির নেই। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মনিরকে গ্রেফতার করেছে ভূল্লী থানা পুলিশ।
মনির ঐ ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কিংবা কোন অপকর্মের নজির নেই বলে খোদ স্থানীয় বিএনপি জামাত নেতাদের দাবি। ঠাকুরগাঁও জেলায় বিগত গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র জনতার উপর নৃশংস হামলায় যুক্ত দুই শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত কিন্তু বর্তমানে পলাতক থাকলেও তাঁরা প্রতিমাসে একবার এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন ভাতা তুললেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকার এরকম চিহ্নিত কিছু আওয়ামী লীগ নেতার সাথে মাসিক বিশেষ চুক্তি করে তাদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে নীরিহদের ধরে জেলে পাঠানোর মহোৎসব চলছে ঠাকুরগাঁও থানায়।
গত দু’দিন আগে জেলার একজন প্রবীণ নিরীহ আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার হওয়ার পরদিন ঐ ব্যক্তির মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। গ্রেফতারের বিষয়টি বিবেচনার জন্য এলাকার কয়েকজন বিএনপি নেতা পুলিশকে অনুরোধ করলেও পুলিশ তাদের অনুরোধ রাখেননি।অথচ একই এলাকার একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার বাসার সামনেও যায়নি পুলিশ। একাধিক সূত্রে জানা গেছে যে জেলার কয়েকটি থানায় বিশেষ করে ভূল্লী, রাণীশংকৈল ও পীরগন্জ থানায় এ ধরনের গ্রেফতারের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এলাকার মানুষ অবিলম্বে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পুলিশের রহস্যজনক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন। যে কোন সময় এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে বলে স্থানীয় সুশীল সমাজ মনে করেন।


