শিরোনাম
হাদিকে গুলি করা দুজনকে ‘শনাক্তের’ দাবি দ্য ডিসেন্টের শরীফ উসমান হাদীর উপর হামলার প্রতিবাদে বালিয়াডাংগীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত গুলিবিদ্ধ হাদি, তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলের ডাক ঢাবি ছাত্রদলের হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার হাদিকে গুলি— নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার নীলনকশা: বিএনপি ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ: ঢাকা মেডিকেলে সেনাবাহিনী মোতায়েন হাদির গুলিবিদ্ধের খবর শুনে হাসপাতালে মির্জা আব্বাস গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনও জায়গা নেই: মির্জা ফখরুল রংপুরে বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাসহ তার স্ত্রীকে হত্যা মামলায় আসামি গ্রেফতার ০১ ময়মনসিংহে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকের পায়ের সফল অস্ত্রোপচার

রংপুরে বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধাসহ তার স্ত্রীকে হত্যা মামলায় আসামি গ্রেফতার ০১

Chif Editor

শিল্পী আক্তার, রংপুর ব্যুরো :- রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় (৭২) এবং তার স্ত্রী সুর্বণা রায়কে (৬৫) নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বরে) গভীর রাতে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকা থেকে মোরছালিন (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মোরছালিন হত্যার মাত্র দুই দিন আগে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে টাইলস লাগানোর কাজ করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেপ্তার মোরছালিনকে নিয়ে পুলিশ কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে যোগেশ চন্দ্রের বাড়ির পাশে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়।

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন আমিন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। আজ অস্ত্র উদ্ধার হলো, মামলার তদন্তে বড় অগ্রগতি আসবে।

গত শনিবার গভীর রাতে রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও মাথায় আঘাত করে যোগেশ চন্দ্র রায় ও সুর্বণা রায়কে হত্যা করা হয়। রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে বাড়িতে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাইয়ুম তালুকদার জানান, হত্যার পেছনে লুটপাট নাকি পূর্বশত্রুতা রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তদন্ত দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মারুফ বলেছেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমরা পুরো ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

Leave a Reply