শিরোনাম
কাজিপুরে ইউপি সচিব আবু সাঈদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ মওদুদ দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে সাইবার অপরাধীসহ ও বিভিন্ন মহলের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে নাশকতার চেস্টায়, থানায় জিডি দায়ের পলিথিন ও শব্দ দূষণ রোধে সারা দেশে জোরালো অভিযান বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী সড়ক ভাঙনে স্থবির বান্দরবান-লামা জনপদ টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে এক হাজার পিস ইয়াবা জব্দ তেজগাঁও কলেজে পরীক্ষায় বঞ্চিত শিক্ষার্থী, অফিস সহায়ক সাময়িক বরখাস্ত পর্যটন খাতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদানে ২০২৫-এ ভূষিত হলেন পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক পিপিএম

কাজিপুরে ইউপি সচিব আবু সাঈদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ

Juyel Khandokar

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও বিএনপি নেতা আবু সাঈদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে মিথ্যা মামলা সাজানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সচিব পদে থেকে আবু সাঈদ দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছেন। বিশেষ করে কৃষকদের কাছ থেকে সেচ কার্যক্রমের নামে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

মোকাম-আমলী আদালত, কাজিপুরে দায়ের হওয়া পিটিশন মামলা নম্বর ০৬/২০২৫-এ বাদী মোঃ আহসান উল্লাহ চান মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ আনেন। আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিলেও স্থানীয়রা দাবি করছেন, এটি সম্পূর্ণ সাজানো এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

অভিযোগ রয়েছে, মামলাটির মূল কারিগর আবু সাঈদ নিজেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে এবং এলাকায় সেচ কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ নিতে সচিবের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে তিনি মামলাটি সাজিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানায়, আবু সাঈদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার দুর্নীতি, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। তবে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

মামলার বিবাদীপক্ষের এক সদস্য বলেন, “আবু সাঈদ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদের সেচ কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছেন। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছেন। সত্য উদঘাটন হলে মামলাটি খারিজ হয়ে যাবে।”

এদিকে মামলার ১ নম্বর আসামি ও স্থানীয় বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী শামীম তালুকদার অভিযোগ করেন, “মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়ে বাদীপক্ষ আমার কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়েছে এবং লিখিত আপসনামা থানায় জমা দিয়েছে।” সূত্র জানায়, মামলাটি রফাদফার পথে এবং বাদীপক্ষ খুব শিগগিরই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করবে।

স্থানীয়দের মন্তব্য, “৫ আগস্টের আগে যারা এলাকায় রাজনৈতিকভাবে কোনোভাবেই পরিচিত ছিল না, তারাই এখন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এমন চাঁদাবাজি ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। কেউ কেউ রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে।”

এলাকাবাসী আবু সাঈদকে সাময়িক বরখাস্ত করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির ঘটনা আরও বাড়বে।

Leave a Reply