নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সরকারি অর্থায়নে টেন্ডার -ঠিকাদার ছাড়াই হচ্ছে সংস্কার- উন্নয়ন প্রকল্পের লাখ লাখ টাকার কাজ। আর এইসব কাজ বাস্তবায়ন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামাল হোসেন”র নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রাম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিসে আউটসোর্সিং এ নিয়োজিত কর্মকর্তা এসও মোজাম্মেল হক। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে সভাপতি পদে রয়েছে ওই আউটসোর্সিং কর্মকর্তা এসও মোজাম্মেল হকের নাম।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, পিআইসি”র (প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি ) অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে এসব কাজ করা হচ্ছে। সূত্র জানায় চৌদ্দগ্রামে সম্প্রতি প্রতিটি প্রকল্পে দুই লাখ টাকার কম-বেশির মধ্যে খরচ দেখিয়ে যেন-তেন ভাবে এসব কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। সরজমিনে অনুসন্ধান কালে জানা গেছে, উপজেলার গুণবতী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সীমানা প্রাচীন নির্মাণের জন্য ২ লাখ টাকার একটি ও ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার একটি সহ দুইটি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়। ঐ দুই প্রকল্পের খোঁজখবর নিতে গেলে স্থানীয়রা জানান, কাজটি করছেন মোজাম্মেল হক নামের ব্যক্তি (এলজিআরডি অফিসের কর্মকর্তা এসও)। এ বিষয়ে মোজাম্মেল হক জানান, কাজটি করছেন,গুণবতী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কোহিনুর সুলতানা নেতৃত্বে পিআইসি। প্যানেল চেয়ারম্যান কোহিনুর সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, কাজ আমি করছি না, আমার থেকে শুধু স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে তবে এই বিষয় অফিস থেকে বিস্তারিত জানতে ফোন করলে তিনি বলছেন ভিন্ন কথা সব কিছুই জানেন ও দেখবাল করছেন বলেও তিনি বলছেন হয়তো চাপ পরেছেন উনার উপরে। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামাল হোসেন বলেন প্যানেল চেয়ারম্যান এ বিষয় না জানলে কেন সাইন করলেন এই বিষয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ওই ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা সেলিম মিয়া জানান, একটি কাজ করছেন, আরিফ মিয়া নামের একব্যক্তি। এদিকে উপজেলা কমপ্লেক্সে ইউএন ও অফিসের পূর্ব দিকে বিয়াম স্কুলের অভিভাবক সেড স্থলে মাটি ভরাট ও সংস্কার নামে ২ লাখ ১১ হাজার ১৮ টাকার একটি প্রকল্পের সভাপতি পদে রয়েছেন ওই এসও আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার পুত্র মোজাম্মেল হক। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)তে সেক্রেটারি হিসেবে সাব্বির আহমেদ, সদস্য আরিফুর রহমান, আব্দুল লতিফ, আবু তাহের সহ আরো ৪ জনের নাম থাকলেও তাদের পিতার নাম গ্রাম ঠিকানা উল্লেখ নেই। উক্ত প্রকল্প ও ওই এস ও মোজাম্মেল হক”কে দিয়ে ইউএনও বাস্তবায়ন করেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়াও একই ভাবে মুন্সিরহাট ইউনিয়নে খিরণশাল গ্রামের উত্তর পাড়া ইয়াহিয়ার বাড়ির সামনে থেকে মন্তুু মিয়ার চায়ের দোকান পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ ও মাটিভরাট প্রকল্পের নামে ২লাখ টাকা, শুভপুর ইউনিয়নে কৈয়ারধারী ব্রিজ হতে আকচর মোড় পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট ৩ লাখ টাকা, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মিতলা দক্ষিণপাড়া পুকুর পাড়ের দক্ষিণ পূর্ব পাশ দিয়ে গাইড ওয়াল ও মাটি ভরাট ২ লাখ টাকা,বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা লুধিয়ারা কেন্দ্রীয় ঈদগার রাস্তার মাটিভরাট ও সলিং করন ২ লাখ টাকার কাজসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট বস প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেন বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে কাজগুলো চলছে। এক্ষেত্রে অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি জানান। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কমটির ফরমটি পরিপূর্ণ কেন পূর্ণ করা হলো না এই বিষয় জানতে তিনি জানান সরকারি কাগজ সম্পূর্ণ পূর্ণ না করার কোন সুযোগ নেই তবে এই বিষয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নাটকীয় সিন্ডিকেট তৈরি করর প্রকল্পের কাজ বাস্তাবয়নের বিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় ঠিকাদারেরা সহ স্থানীয় দপ্তর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।