শিরোনাম
কুমিল্লা অন্ধকল্যান সমিতির ১৭ কোটি ২২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট হিমাগারে জেসিআই ঢাকা প্রেস্টিজের ব্যতিক্রমধর্মী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ঘুষের টাকায় রাজউকের চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন কামরুজ্জামান | পর্ব-০১ পুকুর ভরাট নিয়ে নিরব ভূমিকায় কুমিল্লার বেয়াদপ প্রশাসন বরিশাল সরকারি মডেল কলেজ: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ইসলামী আদর্শভিত্তিক নেতৃত্বই জাতিকে সঠিক গন্তব্যে নিতে পারে: -মাওঃ আঃ জব্বার বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা জরুরী : -মাওলানা আঃ জব্বার ধামরাইয়ে হবু পুত্রবধূর ভাইরাল নাচের ভিডিও দেখে বিয়ে ভেঙ্গে দিলেন পাত্রের বাবা। মিথ্যা সংবাদ করায় যুগান্তুর সাংবাদিক শাহিনের বিরুদ্ধে মামলা। সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তলসহ বিএপির নেতা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক:- কুমিল্লা নগরীর শতবর্ষ পুরাতন পুকুর ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি চলছে কিন্তু উক্ত বিষয় কুমিল্লা প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ করছে সাধারণ জনমনে বেয়াদপ প্রশাসনের ভূমিকায়। কুমিল্লা নগরীর সংরাইশ ১৬নং ওয়ার্ড এর সাহেব বাড়ির পাশে হলিচাইল্ড স্কুলের সামনে রাস্তার পাশের শতবর্ষ পুরাতন একটি পুকুর বেচাকেনা করে পুকুরটি ভরাট এর কাজ করছেন স্থানী একটি কুচক্র মহল।

সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় যে এই পুকুরটি দখল করে বিক্রি করার জন্য প্রায় ২০১৮ সাল থেকেই একাধিক চক্র সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে কাজ করছেন। এই পুকুরটি একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি হলে পুকুরটি ভরাট করার সময় সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বাধা প্রধান করে, সরজমিন প্রশাসন নিয়ে এসে পুকুরটি সংস্কারের ঘোষণা করে যায়। কিন্তু বাজেট এর কারনে পুকুরটি সংস্কার করতে পারেনি এর আগেই মেয়র সাক্কুর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে।

পরবর্তীতে আরও একাধিক হাতবদল হয়ে এই পুকুরটি কেনা বেচার। এই পুকুর কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে আওয়ামিলীগ এর দোসর সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের মেয়ে সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনার নির্বাচনে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খরচ ভাবদ ডোনেশন দেওয়া হয়। যাতে এমপি বাহার পুকুরটি ভরাটের সময় প্রশাসনকে টেকেল দেয় সেই আশ্বাস দিয়েই ডোনেশন নিয়েছিলেন এমপি বাহার। এমপি বাহারের মেয়ে তাহসিন বাহার সূচি ক্ষমতায় এসে সময় পায়নি। ইতিমধ্যে পুকুরের জমি কেনার মালিকেরা হাত বদল করেন। এমপি বাহার ও তার মেয়ে মেয়র সূচি ২৪ এর আন্দোলনের পরে পালানোর পরে এখন আবার একটি মহল পুকুরটি বিক্রি করে ভরাট করছেন এতে প্রশাসনে নিরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান শতবর্ষের পুরাতন পুকুরটি প্রথমে ভরাট করা শুরু করলে উক্ত পুকুরে অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা সদর ইউএনও কাজ বন্ধ করে দিলেও সাত দিনের ব্যবধানে এখনো আবার গভীর রাতে ভরাট এর কার্যক্রম চালাচ্ছেন ১/২ দিন গেপ দিয়ে দিয়ে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ বাহার ক্ষমতায় থাকা কালে সংরাইশ ১৬ নং ওয়ার্ড এর শতবর্ষ পুরাতন তিনটি পুকুর ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে আওয়ামিলীগ এর দোসররা এতেও কুমিল্লার প্রশাসন মোটা অংকের টাকা খেয়ে নিরব ভূমিকা পালন করেছেন। এখনো কুমিল্লার জেলা প্রশাসন একি ভূমিকা পালন করছেন ফোন করলেও ফোন উঠান না একি অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের। সরজমিনে অসুসন্ধানে জানা যায় যে পুকুরটি ভরাটের সময় ইউএনও নাটকিয় অভিযান দিয়ে ভরাটের কার্যক্রম বন্ধ করলেও পুকুরে ফেলা মাটি গুলি অপসারণ করেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মাটি ফেলানো টেন্ডার নেওয়া ব্যক্তিদের স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানালেও ইউএনও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

কুমিল্লার লাটসাহেব জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার তাকে তো ফোনে পাওয়াই যায় না বলে অভিযোগ কুমিল্লার অধিকাংশ সাংবাদিকদের। ডিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সে নিজেই একটি মিডিয়া সেইল গ্রুপ তৈরি করে কিছু সাংবাদিকদেরকে তার পক্ষে নিয়ে বাকি সাংবাদিকদেরকে বাঘ দেখিয়ে বিড়াল শিকার করার মতোন কর্মকাণ্ড করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বার বার বিতর্কিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এর আগেও সাংবাদিকের ছেলেকে আটক করে সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে অপমান অপদস্থের ঘটনার বিতর্কিত হলেও কুমিল্লাতেই বহাল রয়েছেন এই লাট সাহেব। গতকাল উক্ত পুকুরটি চতুর্থ দফায় ভরাটের জন্য কুচক্র মহল চেষ্টা করলে স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা প্রধান করেন পরে দুপক্ষে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে একজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। উক্ত সংঘর্ষের দায়ভার কেন কুমিল্লার ডিসি, ইউএনও, এসিল্যান্ড নেবে না? তাদেরকে তিন দিনে শতাধিক কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। গতকাল রাতে আনুমানিক ১২টায় চানপুরের লেক ভিউর সামনে একটি সরকারি খাস জমি ভরাট করার কথা সংবাদ পেয়ে আমরা ছুটে যাই কিন্তু যারা ভরাট করছিলেন তারা সাংবাদিকদেরকে জানালেন ডিসির সাথে লেনদেন করে ভরাট এর কাজ শুরু করেছেন, প্রশাসনকে কল দিলে কল উঠাবেনা বলে জানালে যাচাই-বাছাই করতে ফোন করে দেখা যায় কেহ কল উঠায়নি রাতে ডিসি, ইউএনও ও এসিল্যান্ড মহোদয়গণ। সংরাইশ ১৬নং ওয়ার্ড এর পুকুর নিয়ে কোন হত্যা কিংবা সংঘর্ষ হলে কোন ভাবেই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই কুমিল্লা প্রশাসনের।

Leave a Reply