শিরোনাম
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা চাঁদার টাকায় পড়ালেখা, এখন বিলাসিতায় অভ্যস্ত!— হতবাক এলাকাবাসী সড়ক ভাঙনে স্থবির বান্দরবান-লামা জনপদ টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে এক হাজার পিস ইয়াবা জব্দ তেজগাঁও কলেজে পরীক্ষায় বঞ্চিত শিক্ষার্থী, অফিস সহায়ক সাময়িক বরখাস্ত পর্যটন খাতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদানে ২০২৫-এ ভূষিত হলেন পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক পিপিএম কুমিল্লায় বিওয়াইসিএফ সেল্ফ ডিফেন্স অনুষ্ঠিত শাহ আলী মাজার আরত ভাঙার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিরপুরে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন চট্টগ্রাম বন্দর- ইপিজেড পতেঙ্গার যানজট ও জনদুর্ভোগ লাঘবে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি

বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

S M Rashed Hassan

দেশপত্র ডেস্কঃ
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকার একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক শান্তি, গর্ব ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা শুধু সংস্কার নয়, বরং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের আইনি জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করছি। তবে ন্যায়বিচার মানে কেবল শাস্তি নয়—বরং একটি এমন রাষ্ট্র গঠন, যেখানে ক্ষমতা আর কখনো জনগণকে দমনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত বছরের ঘটনাগুলো স্মরণ করতে গিয়ে আমরা তাদের কথা মনে করি, যারা আমাদের স্বপ্নের জন্য জীবন দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে।

তিনি ওই আন্দোলনকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আশাবাদের ভিত্তিতে নির্মিত নতুন বাংলাদেশের সূচনা হিসেবে অভিহিত করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান, ভুক্তভোগী পরিবার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তাঁর অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় (OHCHR) গত বছর জুলাই-আগস্ট সময়কালের ঘটনা নিয়ে একটি স্বাধীন অনুসন্ধান মিশন পরিচালনা করে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র কয়েক সপ্তাহেই আনুমানিক ১,৪০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই সহিংসতা ছিল পূর্বপরিকল্পিত, পদ্ধতিগত এবং শাসনব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর থেকে পরিচালিত,” বলেন ইউনূস। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তিনি জানান, আমরা জাতিসংঘের সুপারিশ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছি—অন্য কারো জন্য নয়, বরং নিজেদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে।

সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন, জোরপূর্বক গুম প্রতিরোধ সনদে যোগদান, এবং জাতিসংঘের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইসহ একাধিক সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ওএইচসিএইচআরের সঙ্গে একটি সহায়ক মিশন স্থাপন করা হচ্ছে, যা সরকার ও নাগরিক সমাজকে কারিগরি সহায়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

জাতিসংঘ আমাদের রূপান্তর প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার—বলেন অধ্যাপক ইউনূস।

তিনি মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক, আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এবং মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান-কে ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply