শিল্পী আক্তার, রংপুর ব্যুরো:- রংপুর নগরীর স্বনামধন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মূল ভবন যেন কয়েকশত শিক্ষার্থীদের মরণফাঁদ।
অভিভাবক ও সচেতন মহলের অভিযোগ,জরাজীর্ণ ৬ তলা ভবনের মধ্যস্থলে খোলামেলা ইলেক্ট্রিক প্যানেল বোর্ড ঘেঁষেই বসানো হয়েছে তিন-৩ টি বড় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার।এতে সর্ট সার্কিটসহ বিড়ি সিগারেট এর আগুন দিয়ে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।শুধু তাই নয় বহুতল এই ভবনের মধ্যে ধরেছে বিশাল ফাটল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক প্রতিবেদককে বলেন, ভবনটা অনেক পুরনো,এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ-তার ভিতরে (সিরির নিচে) যেভাবে ইলেক্ট্রিক প্যানেল বোর্ডের সাথে বসানো হয়েছে গ্যাস সরবরাহ বড় সিলিন্ডার,তাতে আবার নেই আগুন নিবারণ করার বিকল্প কোন ব্যবস্থা। আর এই অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওই ভবনে সংশ্লিষ্টদের
অবাদে চলে সিগারেট বিড়ির ধুমপান।
একদিকে হাই পাওয়ারের ইলেক্ট্রিক সর্ট সার্কিট বোর্ড,অপরদিকে বেপরোয়া ধুমপানের কারণে বড়ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
এতে ওই ভবন মুহূর্তে ধসে পড়ার শংকা প্রকাশ করেন তারা।
স্থানীয়রা বলেন,কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর অবহেলায় কয়েক শত শিক্ষার্থীর প্রাণ মুহূর্তেই ঝড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন পার্কের মোড় আশরতপুর এলাকাবাসী।
তারা আরো বলেন, এই গ্যাস সিলিন্ডার অপসারণ করার জন্য অধ্যক্ষকে একাধিকবার বলা হলেও কর্তৃপক্ষ নেয়নি যথাযথ ব্যবস্থা। এবিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম মুকুল প্রতিবেদক এর কাছে ভবনটির ফাটল বিষয়ে অস্বীকার করলেও গ্যাস সিলিন্ডার স্থাপনের বিষয়টি তিনি ভুল স্বীকার করে বলেন, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে অপসারণ করবো । এইের কথা বলার আজ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি ঝুঁকিপূর্ণ ওই গ্যাস সিলিন্ডার ভবন থেকে অপসারণ করেননি।
এবিষয়ে যত্রতত্র ভাবে সরবরাহ করানো গ্যাস সিলিন্ডার স্থাপন করা প্রতিষ্ঠান ও ওমেরা (এলপি) গ্যাসের রংপুর এজেন্ট স্বত্বাধিকারী অন্তিক বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যেভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বসাতে বলে সে ভাবে বসাই।
যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ যেভাবে চালাচ্ছে সেই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উচ্চ মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা অফিসার এনায়েত হোসেন বলেন এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না , তবে আমরা সরেজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষন করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।