উথোয়াইচিং মারমা (রনি), বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
বান্দরবানে গত মে মাসে টানা বৃষ্টিপাতের কারনে জেলা সদরের সাথে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় সড়কের তিনটি স্থানে বড় ভাঙনের কারণে সড়কটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধস, সড়কের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে বৃহৎ আকারের ফাটল, রাস্তার এক পাশে পুরোপুরি ধসে গিয়েছে।
বিশেষ করে জেলার বান্দরবান-সুয়ালক-লামা বাইপাস সড়কের তিনটি স্থানে রাস্তাটি বড় আকারে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিনেও রাস্তাটির মেরামত শুরু না হওয়ায় রাস্তার ফাটল দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা স্থানীয়দের পণ্য পরিবহন,স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহ স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে।
বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর দেয়া তথ্য মতে, গত মে, জুন মাসের ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলা সদর ও উপজেলায় মিলিয়ে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পাকা সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা এখনো মেরামত কাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয় বসবাসকারী জনসাধারণের যাতায়াতের অসুবিধার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের বাগানের উৎপাদিত ফসল সহ অভ্যন্তরীন ব্যবসা বানিজ্যের উপর এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি কার্পেটিং করা হলেও এর পর থেকে আর কোনও সংস্কার হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে বারবার ধসে পড়ছে সড়কের বিভিন্ন অংশ।
বর্তমানে সড়কটি যেন একটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করছে। তবে এবার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ । দ্রুত সময়ে রাস্তাটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি),বান্দরবান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাসাউর বলেন ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারনে রাস্তার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,বিশেষ করে সুয়ালক হতে লামা সড়কের ক্ষতির পরিমাণ টা একটু বেশি। টংকাবতী অংশে রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে,আশা করছি আমরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে কার্যাদেশ হাতে পাবো,এবং দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন করতে পারবো।
প্রসঙ্গত গত মে ও জুন মাসের ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতে মাঠ পর্যায়ে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পর্যালোচনায় দেখা যায় ১৫০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা সহ গ্রামীণ সড়কেরও ক্ষতি হয়েছে,যা মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে ৬৩ কোটি টাকার একটি প্রস্তাবনাও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হয়েছ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।