
বয়স মাত্র চার। তবু জীবনের নির্মমতা সে দেখেছে এমনভাবে, যা দেখলে প্রাপ্তবয়স্ক হৃদয়ও কেঁপে ওঠে। বাবা ও সৎ মায়ের অমানবিক নির্যাতনের শিকার ছোট্ট রাইসা, এখনো নীরবে কেঁদে ওঠে ভয় পেলে। কিন্তু এবার তার জীবনে একটুখানি আলো জ্বালালো সোনিয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর মাধ্যমে যখন দেশজুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সাধারণ মানুষ, তখনই এগিয়ে এলেন সোনিয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. তারিকুল ইসলাম তারিক, সহকারী শিক্ষক, ঝালকাঠি হরিচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। তিনি রাইসার চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন এবং শিশুটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
একটি শিশুর কান্না, আমাদের বিবেক নাড়িয়েছে”
তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন,,“রাইসার কান্না শুনে আমি এক মুহূর্তও স্থির থাকতে পারিনি। আমরা চাই, এই শিশুটি যেন সুস্থ হয়ে আবারও হাসতে পারে। মানবতা তখনই পূর্ণতা পায়, যখন আমরা দুর্বলদের পাশে দাঁড়াই।”
স্থানীয় সমাজকর্মী ও শিক্ষকেরা বলেন,এটি শুধু একটি দান নয়, এটি এক মানবিক জাগরণ।”
“সোনিয়া স্মৃতি ফাউন্ডেশন” এক আলোকিত উদ্যোগ..
ঝালকাঠির এই সংগঠনটি নানা সময় সামাজিক কাজ, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও মানবিক কার্যক্রমের জন্য আলোচিত। এবার রাইসার পাশে দাঁড়িয়ে তারা আবারও প্রমাণ করলো, মানুষ এখনো মানুষকে ভালোবাসে।
রাইসার নীরবতা ভাঙুক হাসিতে…
রাইসা এখন চিকিৎসাধীন। তার চোখে এখনো ভয়, কিন্তু সেই চোখেই জেগে উঠছে আশার আলো। সমাজের মানুষ পাশে দাঁড়াচ্ছে, সান্ত্বনা দিচ্ছে, নতুন করে বাঁচার প্রেরণা দিচ্ছে।
এ যেন এক নিঃশব্দ বার্তা…
“অমানবিকতার প্রতিষেধক হচ্ছে মানবতা।”



