সিনিয়র রিপোর্টার বিশাল রহমান :- ঠাকুরগাঁও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মা ভর করেছে। চীফ ইনস্ট্রাক্টর(ফার্ম মেশিনারী) প্রকৌশলী অজয় কুমার সিংহের খুঁটির জোর কোথায় তা নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগে জানা গেছে ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে ঠাকুরগাঁও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে চীফ ইনস্ট্রাক্টর ফার্ম মেশিনারী পদে যোগদান করেন একসময়কার ছাত্রলীগের ক্যাডার প্রকৌশলী অজয় কুমার সিংহ। কর্মস্থলে যোগদানের পর তৎকালীন ঠাকুরগাঁও -১ আসনের আওয়ামী লীগের অবৈধ এমপি রমেশ সেনকে ধর্মের পিতা বানিয়ে একের পর এক দূর্নীতিতে জড়িয়ে পরেন।সেই সময়ে তাঁর দাপটে তটস্থ থাকতে হতো প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্তাকেও। অনুসন্ধানে জানা গেছে প্রতিষ্ঠানটির ফার্ম মেশিনারী বিভাগের যন্ত্রাংশ ক্রয়সহ বিভিন্ন কেনাকাটায় তিনি নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতিতে জড়িয়ে ১০ বছরে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।নিজ এলাকা পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারীর বিভিন্ন এলাকায় শত বিঘা জমি কিনে রাতারাতি আংগুল ফুলে বটগাছ বনে যাওয়া এই দূর্ণীতিবাজ প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কেনাকাটায় কোটি কোটি টাকার দূর্ণীতি ও অনিয়ম করে চলেছেন।জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে নিজের খোলস পাল্টে তিনি স্বরূপে আবির্ভূত হয়ে একের পর এক দূর্নীতি করে চললেও তাঁকে নিয়ন্ত্রণে নেই কোন প্রশাসনিক উদ্যোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁর কয়েকজন সহকর্মী এ প্রতিনিধিকে জানান বিগত দিনে আওয়ামী লীগের এমপির কাছের মানুষ পরিচয় ব্যবহার করে তিনি যা ইচ্ছে তাই করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস রাখতেন না।মোদ্দাকথা তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাক্ষাৎ আতংক। অনিয়ম ও দূর্ণীতির মহারাজা হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাঁও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ফার্ম মেশিনারী বিভাগের চীফ ইনস্ট্রাক্টর অজয় কুমার সিংহ দশ বছর ধরে আওয়ামী লীগ এবং রমেশ সেনের লোক পরিচয় ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির কেনাকাটায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক অসংগতি, অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন সরবরাহকারী ও ঠিকাদার। তাদের অভিযোগ নিম্নমানের পণ্য কমদামে কিনে তা বেশী দাম দেখাতে বাধ্য করেন দূর্নীতিবাজ এই প্রকৌশলী। তাঁর কথার অবাধ্য হলে ঠিকাদার ও সরবরাহকারীদের বিল দিতে টালবাহানা করেন তিনি। অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় এবং দুদক কর্তৃক জোরালো তদন্তের দাবি ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বসাধারণের।



