কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্ত্রী’র সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে আবু বক্কর প্রকাশ আসিফ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত আসিফ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কেন্ডা গ্রামের মরহুম ফটিক মিয়ার ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সৌদিআরব প্রবাসী আসিফ দুই মাস আগে দেশে ফেরেন এবং গত ২৭ অক্টোবর জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুইটিকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর গত ৮ নভেম্বর নববধূকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। ওইদিন সন্ধ্যায় শ্যালক শান্তকে সাথে নিয়ে অলির বাজার ঘুরে বাড়ির পথে হাঁটছিলেন আসিফ। সাদিয়া দারুল উলুম মাদরাসার সামনে পৌঁছালে আগ থেকে ওঁৎপেতে থাকা বাপ্পি ও পারভেজ নামে দুই যুবক তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে ১৪ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই আরাফাত হোসেন অভিযোগ করেন, স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারের বিয়ের আগের প্রেমিক রাব্বি ওরফে বাপ্পিই তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করে। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী সুইটিরও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। “বাপ্পির সঙ্গে সুইটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল—এ তথ্য পরে জানতে পারি। আমরা ভাবিকেও আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করবো,” জানান আরাফাত। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন সুইটির বাবা দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, “আমার মেয়ে কারও সঙ্গে প্রেম করেনি। মোবাইলও ব্যবহার করতো না। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার মেয়ে মোটেও জড়িত নয়। হত্যাকারীদের বিচার চাই। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম জানান, ঘটনার দিন রাস্তা চলার সময় আসিফের সঙ্গে বাপ্পি–পারভেজের ধাক্কাধাক্কির জেরে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি বলেন, ৮ নভেম্বর রাতেই মামলা নেওয়া হয়েছে। আসিফের মৃত্যুর পর মামলা হত্যাকাণ্ডে রূপ নেবে। আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। স্ত্রীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জানান, এ ধরনের অভিযোগ এখনো আমাদের কাছে কেউ দেয়নি। তদন্ত গুরুত্বের সঙ্গে চলছে।


