
সিনিয়র রিপোর্টার বিশাল রহমান :- ঠাকুরগাঁওয়ে আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক আলু চাষে পরিচিত জেলা ঠাকুরগাঁও। জেলার ৫ উপজেলার মাটি আলু চাষে উর্বর হওয়ার কারণে প্রতি বছর অধিক লাভের আশায় দুই ধাপে আলু চাষ করেন এলাকার কৃষকরা।
আশ্বিন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথম ধাপের আলু চাষ শুরু হয় এই এলাকায়। আগাম জাতের ধান কাটার পর ওই জমিতে আলু চাষ করা হয়।তবে অসময়ে বৃষ্টির কারণে এবার আগাম আলুর আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। পরে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে করা হয় দ্বিতীয় দফা আলু চাষ।
গত বছর বোরো ধান ও চলতি বছর আমন ধানের বাজার কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে কৃষকদের। তাই ঠাকুরগাঁও জেলায় চলতি বছরের আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে লাভের আশায় দ্বিতীয় দফায় আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৫২৮ হেক্টর। আলু আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৩০ হেক্টর। উপজেলা ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর,বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে, রানীশংকৈল উপজেলায় ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর,পীরগঞ্জ উপজেলায় ৩ হাজার ৬০০ হেক্টরএবং হরিপুর ২ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে।
ঠাকুরগাঁওয়ে এবার মাটির প্রকারভেদে কার্ডিনাল, ডায়মন্ড ও দেশি আলু চাষের আওতায় আনা হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মাটি বেশ উচু ও উর্বর তাই সব উপজেলায় আলু চাষের উপযোগী। বিশেষ করে সদর উপজেলার, রহিমানপুর, আখানগর ইউনিয়ন ও রুহিয়া ইউনিয়ন।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোঃ মাজেদুল ইসলাম বলেন, স্বল্প সময়ে আলু চাষ একটি লাভজনক ফসল, তাছাড়া আলু হিমাগারে রেখে সারা বছর খাওয়া যায় ও বিক্রি করা যায়। আশা করি বাজার দর অনুকূলে থাকলে আলু চাষে কৃষকরা লাভবান হবে। সরেজমিন কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে এবার তাঁরা কোমড় বেঁধে আলু চাষে নেমে পরেছেন।ঠাকুরগাঁওয়ের শাহী হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন বলেন, গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে এবার আলু চাষী ও হিমাগার শিল্প সংশ্লিষ্টরা ঘুরে দাড়াতে পারবেন। এদিকে আগাম শীত এবং তীব্র কুয়াশার কারণে এবারও আলুর বাম্পার ফলনের ব্যাপারে আশাবাদী স্থানীয় কৃষকরা।


