
ইসরায়েলের কারাগারে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আটক থাকা ফিলিস্তিনি নেতা মারওয়ান বারঘুতির মুক্তির দাবি জানিয়ে সোমবার (১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। ২০০২ সাল থেকে কারাবন্দি এ নেতা ফিলিস্তিনি রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
৬৬ বছর বয়সী বারঘুতি ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষ নেতা এবং প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয় ইনতিফাদার সময় সংঘটিত হামলার অভিযোগে ইসরায়েলি আদালত তাকে পাঁচটি যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়।
বারঘুতির ভাই মোকবেল বারঘুতি আনাদোলুকে জানান, লন্ডন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, ইতালি, বিভিন্ন আরব দেশ এবং দখলকৃত পশ্চিম তীরের তাদের নিজ শহর কোবারসহ বিশ্বজুড়ে একযোগে কর্মসূচি দিয়ে নতুন করে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, “২০০২ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকেই বারঘুতির মুক্তির জন্য আমরা নানা উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছি। এবারও সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই আন্তর্জাতিকভাবে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।”
ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মীদের একটি দলও শনিবার রামাল্লাহর উত্তর-পশ্চিমের কোবার শহর সফর করে। সেখানে শিল্পী জিমি একটি ফুটবল মাঠের প্রাচীরে বারঘুতির প্রতিকৃতি এঁকে তার নিচে লিখেছেন—“ফ্রি মারওয়ান”।
মোকবেল জানান, মানবাধিকার সংগঠনগুলো ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ীদের সহযোগিতায় এ ক্যাম্পেইন সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, “ইসরায়েলি কারাগারে বন্দিদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে ৯০ জনের বেশি বন্দি মারা গেছেন। আমরা তাদের জীবনের ব্যাপারে শঙ্কিত।”
বন্দিদের অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় মারওয়ান বারঘুতির শরীরের বেশ কয়েকটি পাঁজরে ফাটল ধরেছে।
চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির পাশাপাশি ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময় প্রক্রিয়া রয়েছে। পরিকল্পনাটি গাজা পুনর্গঠন এবং হামাসবিহীন নতুন শাসনব্যবস্থা গঠনের পথও তৈরি করবে।



