শিরোনাম
বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় কুমিল্লায় কৃষিবিদের দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো নতুন ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ক্ষমতা প্রেমিকরা বারবার ক্ষমতায় গেছে, জাতিকে কী দিয়েছে : চরমোনাই পীর বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা বিডিআর হত্যাকাণ্ড: স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আরও ৭ দিন বৃদ্ধি নবদ্বীপে নবজাতককে সারারাত আগলে রাখল রাস্তার একদল কুকুর স্কুলে ভর্তিতে বয়সসীমা নিয়ে নতুন নির্দেশনা পাকিস্তানে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা, এএসআইসহ নিহত ৩ ট্রাম্পের ক্ষমায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুক্তি পেলেন হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট

তিন দফা দাবির কবলে রাণীশংকৈলের মডেল স্কুলের পরীক্ষার্থীরা

Chif Editor

অভিষেক চন্দ্র রায়, রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি :-  ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলে চলে এসেছে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে পরীক্ষা আর এ সময় পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন সহকারী শিক্ষকরা। শুধু তাই নয় ফোনে ডেকে নেওয়া হয় অন্য বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষককেও। অবস্থার বেগতিক দেখে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ফোন দেন প্রধান শিক্ষক। আর এমন ঘটনা ঘটে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বুধবার দুপুরে স্কুলে আগত অভিভাবকদের সূত্রে জানা যায়, এই স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার জন্য শিশু শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন। তখন শিক্ষার্থীরা স্কুল চত্তরে বিক্ষোভ করে বলেন আমরা আমাদের শিক্ষক ছাড়া পরীক্ষা দিবো না। এমনকি এ অবস্থায় খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে আসেন পুলিশ।  তখন শিক্ষার্থীরা পুলিশের গাড়িও আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে।

পরে পুলিশ ও শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে না পারলে ফিরে যায় থানা পুলিশ।পরে অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তার সহযোগিতায় পরীক্ষা বসাতে পারেন প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান।

উপস্থিত পথচারী ও অভিভাবকরা জানান, যখনি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন তখনই উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের ২০-২৫ জনের শিক্ষকদের একটি দল স্কুলে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মোবাইলে ধারণ করতে থাকেন। এমনকি তাদের উৎসাহিত করতে থাকেন তারা। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম এ পরিস্থিতির বিষয়ে বহিরাগত শিক্ষকদের জিজ্ঞেসা করলে তারা বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছি। আর এই স্কুলের শিক্ষকের ম্যাসেজের মাধ্যমে জানতে পারি এ স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে এ কথা শুনে আমরা অন্য স্কুলের শিক্ষকরা এ বিদ্যালয়ে এসেছি। এ বিষয়ে খাদিজা বেগম বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আপনাদের(শিক্ষকদের) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।

Leave a Reply