
যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজ, যিনি মাদক পাচারের অভিযোগে কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কারা কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়ায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন। ফেডারেল কারাগারের রেকর্ড অনুযায়ী, গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) তিনি পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ইউএসপি হেজেলটন কারাগার থেকে মুক্তি পান।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে কোকেন আমদানির ষড়যন্ত্র ও মেশিনগান রাখার অভিযোগে হার্নান্দেজকে দোষী সাব্যস্ত করে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্পের অবস্থান:
গত শুক্রবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে দাবি করেন, হার্নান্দেজের সঙ্গে ‘রূঢ ও অন্যায়’ আচরণ করা হয়েছে। রোববার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি আরও দাবি করেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন হার্নান্দেজের বিরুদ্ধে ‘সাজানো তদন্ত’ করেছে।
পরিবারের প্রতিক্রিয়া:
গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) হার্নান্দেজের স্ত্রী আনা গার্সিয়া দে হার্নান্দেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, “আমার স্বামী এখন একজন মুক্ত মানুষ।”
হন্ডুরাসের ন্যাশনাল পার্টির সদস্য হার্নান্দেজ ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সহিংস মাদক চোরাচালানের ষড়যন্ত্র ও শত শত টন কোকেন পাচারে সহযোগিতার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ২০২২ সালের এপ্রিলে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর করা হয়। বিচার চলাকালে কৌঁসুলিরা বলেছিলেন, হার্নান্দেজ হন্ডুরাসকে ‘মাদক চক্রের নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রের মতো’ পরিচালনা করেছেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ৮০ লাখ ডলার জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
হার্নান্দেজকে এমন সময় মুক্তি দেওয়া হলো, যখন হন্ডুরাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নিয়ে উত্তেজনা চলছে। এই নির্বাচনে মধ্যপন্থী লিবারেল পার্টির নেতা সালভাদর নাসরাল্লা ট্রাম্প-সমর্থিত প্রার্থী নাসরি আসফুরার চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।



