শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে সার নিয়ে হাহাকার,উপ পরিচালক বলছেন সারের সংকট নেই, মাঠে কৃষকদের হাতে নাজেহাল উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মহিলা ডিগ্রী কলেজ ভাঙ্গুড়ায় অভিভাবক সমাবেশ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র দোয়া মাহফিল পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঠিক করছে এনসিপি : সারজিস আলম ‘শুক্রবার সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন ডা. জোবাইদা রহমান’ বেগম খালেদা জিয়া সারাবিশ্বে সম্মানিত : শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি আইজিপিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণে আইনি নোটিশ ঢাকার অদূরেই দুই ভূমিকম্পের উৎস শনাক্ত, ঝুঁকিতে যেসব এলাকা এবারও খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী সেই ফাতেমা

ঠাকুরগাঁওয়ে সার নিয়ে হাহাকার,উপ পরিচালক বলছেন সারের সংকট নেই, মাঠে কৃষকদের হাতে নাজেহাল উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা

Chif Editor

সিনিয় রিপোর্টার বিশাল রহমান :- ঠাকুরগাঁওয়ে রবি মৌসুমে সারের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দাবি করছেন সারের কোন সংকট নেই। অথচ সারের বরাদ্দ নিয়ে ডিলার ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কারসাজিতে রবি মৌসুমের চাষাবাদ ঝুঁকির মধ্যে পরার আশংকা দেখা দিয়েছে। চলতি সময়ে ঠাকুরগাঁও জেলার চাষীরা গরম,ভূট্টা,আলুসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করার কথা থাকলেও শুধুমাত্র সারের তীব্র সংকটের কারণে বিস্তীর্ণ ফসলী জমিতে চাষ করে দিনব্যাপী জেলার কৃষকগণ ডিলারদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন।

একশ্রেণির দূর্নীতিবাজ ডিলার ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাজারে সারের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে কৃষকদের অভিযোগ। সার নিয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ মাজেদুর ইসলাম বলেন, সারের কোন সংকট নেই। কিন্তু মাঠের বাস্তবতা সম্পুর্ণ ভিন্ন। গত ২ ডিসেম্বর সার নিয়ে সৃষ্ট জটিলতাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের হাতে নাজেহাল হন ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। রাণীশংকৈলের উমরাডাংগী বাজারে সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে এই ঘটনা ঘটে। রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, উমরাডাংগী বাজারে সারের ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এক সপ্তাহ আগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সেনুয়া ইউনিয়নে সার নিয়ে একই অভিযোগ উঠে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওয়াজ করোনা ও ডিলারের বিরুদ্ধে। উক্ত ইউনিয়ন থেকে সার পাচারের সময় স্থানীয় জনগণ পাচারকৃত সার আটক করে।পরে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয় পাচারকান্ডে যুক্তরা।

এ বিষয়ে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ঘটনা সম্পর্কে অবহিত বলে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, তিনি জড়িতদের বিচার করবেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।পরে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওয়াজ করোনি ও ডিলার মোটা অংকের টাকা দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল ও অংগ সংগঠনের নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। কৃষি বিভাগের গত তিন বছরের রবি মৌসুমের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায় চলতি বছর জেলায় গরম,ভূট্টা,আলুসহ অন্যান্য সবজি চাষের জন্যে প্রায় লক্ষাধিক হেক্টর জমি বর্তমান সময়ে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য হওয়ার কথা থাকলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও জেলা উপ পরিচালক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ এসব বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে চলছেন। এদিকে সারের কৃত্তিম সংকটের অন্যতম হোতা কয়েকজন চিহ্নিত ডিলার জেলার সার বাহিরে পাচার করছেন বলে কৃষকদের অভিযোগ। বিএডিসির সার ও গমবীজ নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে কেলেংকারীর শেষ নেই।

বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাত এর উপ পরিচালক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ডিলারদের নিকট বীজ সরবরাহের সময় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ করেছেন ডিলারদের অনেকেই। জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, একশ্রেণির দূর্নীতিবাজ ডিলার ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে গড়ে তোলা হয়েছে সার পাচারের সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে এলাকায় সারের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে সারের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টির হোতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রুত সার সংকট নিরসনের দাবি এলাকার লাখ লাখ কৃষকের।

Leave a Reply