শিরোনাম
যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা মুক্ত দিবস পালিত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ প্রকাশ: সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ দেশে সাড়ে ১৪ লাখ টন চাল মজুদ আছে: খাদ্য উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২২ কর্মকর্তাকে বদলি বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে কাল আসছে না এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাষণ রেকর্ডের বিষয়বস্তু এবং সময় সিইসি নির্ধারণ করবেন: ইসি সচিব নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো ধরনের আশঙ্কা করছি না: গোলাম পরওয়ার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের আলটিমেটাম 

২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের আলটিমেটাম 

Chif Editor

শিল্পী আক্তার রংপুর ব্যুরো :- রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী”কে হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের আলটিমেটাম।

রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তার স্ত্রী সুর্বণা রায় (৬০) কে হত্যা করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকায় তাদের নিজ বাড়িতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনের হুসিয়ারী দিয়েছেন। তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেছেন, দু’জনেরই মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।

নিহত যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ির দেখাশোনা করা পরিবারের সদস্য দীপক চন্দ্র রায় জানান, তার পরিবার ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ির দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিনের মতো ৭ ডিসেম্বর রোববার সকালে কাজ করতে সেখানে যান। সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়। ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডেকে মই বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখেন ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখেন, যোগেশ চন্দ রক্তাক্ত মরদেহ আর রান্না ঘরে তার স্ত্রী সুর্বণা রায় এর মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, নিহত যোগেশ চন্দ্র রায় পেশায় শিক্ষক ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তার দুই ছেলে, বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজনই থাকতেন। সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Leave a Reply