শিরোনাম
এক হাদির রক্তের ওপর লাখো হাদি দাঁড়িয়ে যাবে: হেফাজতে ইসলাম সবাই হাদি হতে পারে না, আমি চেষ্টা করেও পারিনি: মাহমুদুর রহমান রুহুল কবীর রিজভীর দুঃখ প্রকাশ টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ হাদিকে গুলি: ফেনী সীমান্তে বিজিবির তল্লাশি ও টহল জোরদার আমার নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা গভীর উদ্বিগ্ন: প্রেস সচিব দানে ইউ এন ( UN) ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা, ৬ জন বাংলাদেশি সেনা নিহত, জানায় আই এস পি আর শহর থেকে গ্রামের বাড়ি গেলেন বেড়াতে, রাতে গলা কেটে হত্যা বাবা মির্জা ফখরুলের জন্য ভোটের মাঠে উঠান বৈঠকে ফখরুল কণ্যা মির্জা সাফারুহ তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নতুন গতি পাবে : আমীর খসরু

ওসমান হাদির ওপর হামলা ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’: মির্জা আব্বাস

Chif Editor

অনলাইন ডেস্ক :- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সে আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এই বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই একটি বিশেষ মহল উত্তেজনা সৃষ্টি করতে ফেসবুকে পোস্ট দিতে শুরু করে। তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম সবই পরিকল্পিত।’ তিনি আরও দাবি করেন, হাসপাতালে যারা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল, তারা হাদির সমর্থক নয়, তারা অন্য একটি রাজনৈতিক দলের। আমরা শান্ত না থাকলে হাদির চিকিৎসা ব্যাহত হতো। তারা চেয়েছিল হাদির চিকিৎসা যাতে ব্যাহত হয় এবং সে মারা যায়।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ৭১, ৮৬ সহ অনেক দেখেছি। এদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। এরা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে সব সময়ই অস্থিতিশীল রাখতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘একটি লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে, সে যেই হোক তার মৃত্যু কামনা করি না। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড় শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উসকানি দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তারা সকলেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের। ৭৭ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। কারো সাথে মারামারি হয়নি। একসাথে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। আমরা চাই হাদীর ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার ফতার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উম্মোচিত হোক।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী। সে রাজপথের সাহসী সৈনিক। তাকে আমি নির্বাচনী মাঠে আবারও সক্রিয় পাবো সেই প্রত্যাশা করি।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিজয়নগর ফকিরাপুল মোড় ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

Leave a Reply