
অনলাইন ডেস্ক :- ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ এরই মধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে। সিঙ্গাপুরে শাহাদাতবরণকারী হাদির নামাজে জানাজা আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বেলা আড়াইটায় এই জানাজা সম্পন্ন হবে।
এ দিকে নৃশংস এই হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে ‘কফিন মিছিল’ করেছে জুলাই ঐক্য। এ সময় জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধারা মিছিলে অংশ নেন।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার পর নগরীর আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদের সামনে থেকে ‘কফিন মিছিল’ বের হয়।
জুলাই ঐক্যের ব্যানারে জাতীয় পতাকা মোড়ানো প্রতীকী কফিন নিয়ে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে বের হওয়া মিছিলটি চেরাগী পাহাড় হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে জামালখান মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সেখানে বক্তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের পদত্যাগ, ওসমান হাদির খুনিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবির পাশাপাশি ভারতীয় আধিপত্যবাদমুক্ত দেশ গড়ার কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ইবনে হাসান জিয়াদ বলেন, ওসমান হাদি হত্যার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এড়াতে পারেন না। হত্যাকারীদের জীবিত বা মৃত দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
মব ট্যাগ দিয়ে যারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের বিচার দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব তৌসিফ ইমরোজ।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা জসীম উদ্দিন বলেন, অতীতের যে কোনো সরকারের চেয়ে সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন নিয়ে ইন্টেরিম সরকার গঠিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে তারাই সবচেয়ে ব্যর্থ সরকার।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুবশক্তির নেতা টিপু সুলতান, জুলাই আন্দোলনে নিহত মাহবুবর রহমানের ভাই মঞ্জুর আলমসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
এ দিকে জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল দেওয়ান হাট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে তাকে গুলি করে মোটরসাইকেলে করে আসা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়।


