
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের পৃথক অভিযানে কৃষি ও আবাদি জমির টপসয়েল কাটার দায়ে দুই মাটি বিক্রেতাকে যথাক্রমে ২ লাখ টাকা ও ১ লাখ টাকা সহ সর্বমোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় এক মাটি ব্যবসায়ীকে আটক এবং মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর (ভেকু) জব্দ করা হয়েছে। জরিমানা আদায়ের পর আটককৃত মাটি বিক্রেতাকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকালে এবং রবিবার দুপুরে পৃথক এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাফকাত আলী।
এ সময় থানা পুলিশের পৃথক টিম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাফকাত আলী।
তিনি জানান, রবিবার দুপুর অনুমান দুই ঘটিকায় সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের পন্নারা, বানুশ্বর ও কনকাপৈত নামক স্থানে উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাফকাত আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কৃষি জমির টপসয়েল কেটে অন্যত্র বিক্রির দায়ে “বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০” এর ১৫ ধারা অনুযায়ী এক মাটি ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও তাৎক্ষণিক দন্ডিত অর্থ আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও গত শনিবার বিকাল চার ঘটিকা থেকে রাত অনুমান সাড়ে আট ঘটিকা পর্যন্ত উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের তেলিগ্রাম, চিওড়া নামক স্থানে পৃথক অভিযানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কাটার অপরাধে জমির মালিক ও এক মাটি বিক্রেতাকে “বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০” এর ১৫ ধারায় মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ীকে আটক করে তাৎক্ষণিক জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়। এছাড়াও মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর (ভেকু) জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা প্রতিরোধে, কৃষি জমি ও পরিবেশ রক্ষার্থে এবং জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাফকাত আলী। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাটি খেকোদের জরিমানা ও অর্থ আদায়ের ঘটনায় জনমনে কিছুটা স্বস্থি ফিরে এসেছে।



