শিরোনাম
তিতাসে শাশুড়ী হত্যার ঘটনায় জামাতা গ্রেফতার রংপুর বিভাগে সাড়ে ১১ মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৯৯১০টি অভিযানে ৩০২৭ টি মামলা ৩১৫২ জন গ্রেপ্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ৯ নেতার পদত্যাগ সাংবাদিক নূরুল কবীরের বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাল জামায়াত ভোটের গাড়ি ‘সুপার ক‍্যারাভানের’ যাত্রা শুরু সৎ প্রার্থী বেছে চিন্তা-ভাবনা করে ভোট দিন: প্রধান উপদেষ্টা বিএনপিতে যোগ দিলেন জোটের আরেক নেতা অন্তর্বর্তী সরকার তার বৈধতা অনেক ক্ষেত্রেই হ্রাস করে ফেলেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তারেক রহমানের আগমন, দেশের রাজনৈতিক আকাশে আগাম বসন্তের হিল্লোল লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবক আহত

তারেক রহমানের আগমন, দেশের রাজনৈতিক আকাশে আগাম বসন্তের হিল্লোল

Chif Editor

অনলাইন ডেস্ক :-  কালের আবর্তে সতেরোটি বছর কম সময় নয়। এক দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর প্রতীক্ষার প্রহর শেষে, অবশেষে নির্বাসনের দেয়াল ভেঙে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

গত ১২ ডিসেম্বর, গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমানের আসার ব্যাপারে যে ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়েছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তা এখন বাস্তবে রূপ নেয়ার অপেক্ষায়।

সুদূর টেমস নদীর তীর থেকে রাজনীতির সেই পরিচিত মুখ এবার ফিরছেন নিজস্ব উঠোনে। সবার আগে বাংলাদেশ’—এই স্লোগানে এক ভিন্ন হাওয়া বইছে এখন বাংলার প্রকৃতিতে। ঋতুতে শীতের আগমনী বার্তা থাকলেও, দেশের রাজনৈতিক আকাশে যেন আগাম বসন্তের হিল্লোল। স্বৈরাচারের পতন পরবর্তী দেশের রাজনীতিতে যে বসন্তের পূর্বাভাস, তাতে নতুন মাত্রা যোগ করতে ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার মাটিতে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রায় দুই দশকের প্রবাস জীবন শেষে সেই চিরচেনা বাংলার মাটির সোদা গন্ধ তার নিঃশ্বাসে স্বাধীনতার আমেজকে হয়তো আবারও পুনরুজ্জীবিত করবে। এই মাটিতেই জন্ম, এখানেই বেড়ে ওঠা। আরও কত কত স্মৃতি দোলা দেবে তার মনিকোঠায়।

নতুন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে তারেক রহমান ছিলেন অনেকটা রূপকথার চরিত্রের মতো—যাকে কেবল শোনা কথায় কিংবা অপপ্রচারের ধুম্রজালেই চিনেছে তারা। এবার সেই ধোঁয়াশা কাটবে। তরুণ প্রজন্ম তাদের নেতাকে দেখবে রক্তমাংসের অবয়বে, শুনবে তার আগামীর পরিকল্পনা। তার এই প্রত্যাবর্তনে তারুণ্যের চোখেমুখে তাই এক ভিন্ন উদ্দীপনার ছটা।

তবে, এই প্রত্যাবর্তনের পথ কি শুধুই কুসুমাস্তীর্ণ? শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রত্যাশা—দেশের মাটিতে পা রেখে তিনি যেন তথাকথিত সুবিধাবাদী বা ‘দুধের মাছি’দের বলয়ে আটকা না পড়েন। বরং শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মতোই যেন মিশে যান সাধারণ মানুষের ভিড়ে, মাটি ও মানুষের খুব কাছাকাছি।

রাজনীতির মাঠে যারা এতদিন প্রতিপক্ষ কিংবা সমান্তরাল পথের যাত্রী ছিলেন, তারাও স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনকল্যাণে একসাথে কাজ করার আশাবাদ তাদের কণ্ঠে। তবে একইসাথে তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দীর্ঘ অনুপস্থিতি আর দেশের আমূল পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট—সব মিলিয়ে তারেক রহমানের সামনে অপেক্ষা করছে এক নতুন চ্যালেঞ্জ।

অনেকে মনে করেন, দেশে ফেরার পর একদিকে মায়ের অসুস্থ অবস্থা, অন্যদিকে দলের শৃঙ্খলা ফেরানো বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে তারেক রহমানের জন্য।

ইতিহাসের চাকা ঘোরে নিজস্ব গতিতে। যে মাটি থেকে একদিন তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল বিষাদগ্রস্ত হৃদয়ে, আজ সেই মাটিতেই তিনি ফিরছেন বসন্তের বাতায়ন হয়ে। তবে এই ফেরা যেন কেবল ক্ষমতার অলিন্দে ফেরা না হয়, এই ফেরা যেন হয় মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নেওয়ার—এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

Leave a Reply