
অনলাইন ডেস্ক :- কালের আবর্তে সতেরোটি বছর কম সময় নয়। এক দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর প্রতীক্ষার প্রহর শেষে, অবশেষে নির্বাসনের দেয়াল ভেঙে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ১২ ডিসেম্বর, গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমানের আসার ব্যাপারে যে ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়েছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তা এখন বাস্তবে রূপ নেয়ার অপেক্ষায়।
সুদূর টেমস নদীর তীর থেকে রাজনীতির সেই পরিচিত মুখ এবার ফিরছেন নিজস্ব উঠোনে। সবার আগে বাংলাদেশ’—এই স্লোগানে এক ভিন্ন হাওয়া বইছে এখন বাংলার প্রকৃতিতে। ঋতুতে শীতের আগমনী বার্তা থাকলেও, দেশের রাজনৈতিক আকাশে যেন আগাম বসন্তের হিল্লোল। স্বৈরাচারের পতন পরবর্তী দেশের রাজনীতিতে যে বসন্তের পূর্বাভাস, তাতে নতুন মাত্রা যোগ করতে ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার মাটিতে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রায় দুই দশকের প্রবাস জীবন শেষে সেই চিরচেনা বাংলার মাটির সোদা গন্ধ তার নিঃশ্বাসে স্বাধীনতার আমেজকে হয়তো আবারও পুনরুজ্জীবিত করবে। এই মাটিতেই জন্ম, এখানেই বেড়ে ওঠা। আরও কত কত স্মৃতি দোলা দেবে তার মনিকোঠায়।
তবে, এই প্রত্যাবর্তনের পথ কি শুধুই কুসুমাস্তীর্ণ? শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রত্যাশা—দেশের মাটিতে পা রেখে তিনি যেন তথাকথিত সুবিধাবাদী বা ‘দুধের মাছি’দের বলয়ে আটকা না পড়েন। বরং শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মতোই যেন মিশে যান সাধারণ মানুষের ভিড়ে, মাটি ও মানুষের খুব কাছাকাছি।
রাজনীতির মাঠে যারা এতদিন প্রতিপক্ষ কিংবা সমান্তরাল পথের যাত্রী ছিলেন, তারাও স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনকল্যাণে একসাথে কাজ করার আশাবাদ তাদের কণ্ঠে। তবে একইসাথে তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দীর্ঘ অনুপস্থিতি আর দেশের আমূল পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট—সব মিলিয়ে তারেক রহমানের সামনে অপেক্ষা করছে এক নতুন চ্যালেঞ্জ।
অনেকে মনে করেন, দেশে ফেরার পর একদিকে মায়ের অসুস্থ অবস্থা, অন্যদিকে দলের শৃঙ্খলা ফেরানো বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে তারেক রহমানের জন্য।



