স্টাফ রিপোর্টারঃ কুমিল্লা ৫নং পাঁচথুবী ইউনিয়নের মিরপুর বড় পুকুর পাড়ের কৃষক লুৎফর রহমানের গৃহপালিত ১টি কালো রঙের গরু ১০জুন রোজ শনিবার আনুমানিক বেলা ১১.৩০ মিনিটের সময় মিরপুর পাতর (গরু চরানোর নাল জমি) থেকে চুরি করে নিয়ে যায় ওই গ্রামের ফকির বাড়ির কথিত আওয়ামীলীগের ওবায়দুল হক, এঘটনায় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে নিয়ে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বিচার এবং গরু ফেরত চায় মালিক কৃষক লুৎফর রহমান পরিবার। শুরু হয় ক্ষমতার অপব্যবহার, এরপর একাধিক বার বৈঠক করে চেয়ারম্যান রায় দেন গরুর মূল্য ৩০হাজার টাকা দিয়ে দিবে ওবায়দুল হক। তাতে আপত্তি জানিয়ে গরুর মালিক বলেন,১লাখ টাকার গরু ৩০হাজার টাকা মানিনা। আমরা গরুর ফেরত চাই।
এদিকে গরু ফেরত না দিয়েই ক্ষমতার দাপটে(মামলা করতে দিচ্ছে না)নানান রকম হুমকি ধমকিতে অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ গরুর মালিক কৃষক পরিবার মুন হসপিটালে ভর্তি। ঘটনার বিষয়ে এপ্রতিবেদক সরজমিনে অনুসন্ধান এবং প্রত্যক্ষ স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলার পর অভিযুক্ত ওবায়দুল হক এর বাড়ীতে গিয়ে ও অনেক চেষ্টা করে দেখা সম্ভব হল না।তবে ওবায়দুল হক মোবাইলে (অদ্য২৫জুন২০২৩ইং সন্ধ্যা ৬টা ৪৪মিনিটে) ফোন করলেই তিনি ঘটনার অস্বীকার করে বলেন কোন প্রমাণ নেই।
তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন – একজনের ভাল আরেক জন চায় না।লুৎফর রহমান পারলে গরু নেক।আপনি কি করতে পারবেন করেন। গরুর মালিক লুৎফর রহমানের পরিবার ও স্থানীয় মিজান,আবুল কাশেম ও নাসির উদ্দিন সহ এলাকাবাসীর অভিযোগঃ ওবায়দুল গরু নেওয়ার সময় এরা সরাসরি দেখেছে,তিনি আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি চেয়ারম্যান অফিসে সমাধান চেয়েছিলেন। গতকাল এবিষয়ে চেয়ারম্যান হাসান রাফি মজুমদার রাজুর মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
সন্ধ্যায় এপ্রতিবেদক গেলে মুন্সিবাজারস্থ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের বিশ্বস্ত ইকবাল মাষ্টার জানান,গরু চুরির ঘটনা সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ন্যায্য দাম দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বৈঠকে।স্থানীয় সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃকামরুল হাসান ইদন মেম্বার বলেন,ওবায়দুল গরু চোর প্রমাণিত হওয়ার পর রায় হয়েছিল গরুর মালিককে মূল্য দিয়ে দেওয়ার।তবে এপ্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ন্যায্য দাম কিংবা গরু ফেরত পায়নি অসহায় কৃষক।