নিজস্ব প্রতিবেদক:- কুমিল্লা নগরীর সিটি রোড ও ড্রেনের কাজের উন্নয়ন নিঃসন্দেহে কাজ হচ্ছে এতে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই তবে এতোটাই উন্নয়ন হয়েছে লাগাম টেনে না ধরার কারনে বর্ষাকালে নগরীর মানুষ বাসা বাড়ির পানিশেচা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে নগরীর সব জায়গাতেই বর্তমান সরকারের উন্নয়ন এর ছোয়া লেগেছে তবে লাগামহীনতার কারনে হয়েছে রাস্তা থেকে ড্রেন অনেক উঁচু। যার ফলের নগরীর বাসস্থানগুলো নিচু হয়ে পড়েছে। যার কারনে অধিকাংশ জায়গাতেই একটু বৃষ্টি হলেই বাসা বাড়ি গুলিতে পানি ঢুকে যায় এতে করে বাসা বাড়ির ফার্নিচারসহ আসবাবপত্র গুলি নষ্ট হচ্ছে অভিযোগ করার মতো কোন জায়গা নেই তাদের।
আমাদের অনুসন্ধানে দেখা যায় নগরীর টিক্কাচর কবরস্থান থেকে সুজানগর এর রাস্তা উচু হয়ে গেছে ড্রেন। যদিও রাস্তা আরও উচু হবে। এতে করে দেখা যায় আগের ঘর বাড়ি গুলি ১ থেকে ২ ফুট নিচে চলে গেছে এতে করে কিছু কিছু বাড়িতে জলবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে শুধু তাই নয় বাড়ি গুলিতে প্রবেশে হচ্ছে সমস্যা এমন চিত্র রয়েছে সংরাইশ, বিসিক মোড়ের আহম্মেদ ভিলা এলাকা, ঠাকুরপাড়া, হাউজিং, ভিসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা। সিটির বাহিরে চাঁনপুর কেরানী বাড়ির রোডসহ আরও বিভিন্ন এলাকা এমন চিত্র রয়েছে।
যদিও উন্নয়ন এর ছোয়া লেগেছে সব এলাকায় কিন্তু আগের তৈরি পুরানা স্থাপন গুলি নিচে চলে গেছে কিছু কিছু বাড়ি রাস্তা থেকে ২/৩ ফুট উঁচু ছিল এখন রাস্তা থেকে ২/৩ ফুট নিচে চলে গেছে এই বাড়ি গুলির গেইট। প্রবেশ করতে এখন কষ্টদায়ক হয়ে গেছে আর বৃষ্টি হলে তো আর তাদের ভোগান্তির শেষ নেই তারা পানি সরানো নিয়েই ব্যস্ত থাকেন অধিকাংশ বাড়ি। ফার্নিচার গুলি নষ্ট হয়ে গেলেও তারা আর নিজের ঘর সাজাতে আগ্রহ করেন না, কেননা তাদের ঘর ফার্নিচারে সাজিয়ে কোন লাভ নেই বছর না ঘুরতেই আবারও সেই ফার্নিচার ফেলে দিতে হবে তাই।
সিটির ভিতরে ঠিকাদারেরা দাপট এর সাথে কাজ করেন। সিটি কর্পোরেশন এর দোহাই দিয়ে কেউ কিছুই বলার সাহস পান না এইসব বিষয়ে। ঠিকাদারদের কাছে প্রশ্নো করতে গেলে সাংবাদিকেরা পরে যায় তোপের মুখে সিটি কর্পোরেশন এর দোহাই ও রাজনৈতিক প্রভাব এর কারনে লুকাল সাংবাদিকেরা। সংবাদ লিখার আগ্রহ থাকলেও মাথায় নেন না। সংবাদ লিখার বিষয়ে না জানি আবার কোন বিপদে পরেন, এই সংবাদ প্রকাশের কারনে।
গত ০৭/০৬/২০২৩ ইং তারিখে পুলিশ লাইনে একটি প্রাইভেট কার উল্টে যেতে দেখা যায় সিটি কর্পোরেশন এর ড্রেইনের কাজ বলে অর্ধেক রাস্তায় ড্রেনের মাটি ফেলে ব্লক করার কারনে প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার র্যালিং এর সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে দুইজন প্রাণে বেঁচে যায় পরে সিটি কর্পোরেশন এর গাড়ি এসে মাটি গুলি সরাতে দেখা যায়। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দাপট খাটিয়ে বলেন সিটি কর্পোরেশন এর কাজ এমন হবেই। এই ধিকে রেল লাইন ও রাস্তা উচু হওয়ার কারনে ধর্মপুরের ১ম খাদ্য গুদামটি এখন প্রায় পানির নিচে । লাগাম না টেনে ধরার কারনে নগরীতে যারা দিন এনে দিন খায় তাদের বাড়ি গুলি ভেঙ্গে করতে এখন এক এক জনের কয়েক লক্ষ টাকা করে লাগবে এই টাকা গুলি কি তারা যোগার করতে পারবে ? একাধিক ভুক্ত ভোগীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন আমাদের পক্ষে আগামী ১০/১৫ বছরেও সম্ভব না বাড়ির কাজে হাত দেওয়া এদিকে সব জিনিসের দাম খুব দ্রুত বাড়ছে তাদের ঐরকম ইনকাম নেই, তারা কাজ করছে আমাদেরকে বললেই হতো যে তোমাদের রাস্তার কাজ তোমরা করে নাও নয়তো এমন সমস্যা হবে, কিংবা ১০/২০ হাজার করে টাকা নিয়ে আমাদের কাছ থেকে কাজ গুলি একটু ভালো করেই করতো।
বেশ কিছুদিন আগে গভীর রাতে পুলিশ লাইনের ড্রেইনের মাটি সিটি কর্পোরেশন এর ব্যানার লাগিয়ে ড্রাম্পার দিয়ে নগরীর ইপিজেডসহ বিভিন্ন এলাকায় মাটি বিক্রি করতে দেখা যায়! শুধু তাই নয় সিটি কর্পোরেশন এর ব্যানার লাগিয়ে বানাসুয়া রেল লাইনের মাটি নগরীর বেসিক, টামছমব্রীজ, জেলখানা, জাগরতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতে দেখ যায়।