নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের ৮ নং ওয়ার্ডের গোপিবাগ এলাকায়,বাংলাদেশ ব্যাংকের(ব্রাদার্স ক্লাব) খেলার মাঠটি যেন মাদকাসক্তদের আস্তানা।
স্থানীয়দের মতে এই মাঠে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে কিছু বখাটে ছেলে এসে মাদক সেবন করে।
শুধু মাদক সেবনই নয় তারা মাদকের টাকা যোগান দিতে চুরি,ছিনতাই এবং আরো জঘন্যতম অবৈধ কাজ করে।এদের উৎপাতে এলাকাবাসী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।মাদক সেবনে এদেরকে বাধা প্রদান করতে গেলে নানা রকম ভয়-ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে।ফলে কেহ আর বাধা প্রদান করার চেষ্টা করে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ শামীমুর রহমান পিএসসি অবসরপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জোন অধিনায়ক ডি এম এ (পূর্ব) মোঃফয়সাল হোসেনের নির্দেশনায় ও সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় প্লাটুন আনসার কমান্ডার মোঃ শাহ-আলম সরকারের তত্ত্বাবধানে,
ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের ৮ নং ওয়ার্ডের গোপিবাগ এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের(ব্রাদার্স ক্লাব) খেলার মাঠ বাসিক এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
শাহ-আলম সরকার তার দায়িত্ব, সাহসিকতা এবং দক্ষতার পরিচয় দেন, এই ভয়াবহ মাদক সেবীদের কে উচ্ছেদ করে। মূলত শাহ-আলম সরকার স্থানীয় আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।এলাকাবাসী,স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের(ব্রাদার্স ক্লাব) খেলার মাঠটিতে তিনি দল নিয়ে করা নজরদারিতে রাখেন এবং বেশ সংখ্যক মাদক সেবনকারীকে আটক করেন এবং তাদের প্রথম হুঁশিয়ারি হিসেবে মোছলেখা রেখে দেন।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ম্যানেজার, মোঃআমির হোসেন এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, সন্ধ্যা হলেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবীরা এই মাঠে এসে মাদক সেবন করতো।এরা কাউকেই ভয় পেতো না।কিছু বলতে গেলে নানারকম ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদান করত এরা।
তবে এখন আর আগের মত নেই, সকাল ছয়টায় মাঠের গেট খোলা হয় এবং কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এখানে প্রবেশ করে। কেউ খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে আবার অনেকেই শারীরিক ব্যায়াম করে থাকে।আবার সন্ধ্যা ছয়টা হলেই গেট তালা বন্ধ করা হবে। সবার মনে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে। আমি মনে করি শুধুমাত্র আনসার কমান্ডার শাহ-আলম সরকারের বিশেষ ভুমিকা রয়েছে এর পেছনে।
মাঠের পাশে ফুচকা বিক্রিতা শ্রী হরিপদের মুখেও ঠিক একই কথা। আমি ত্রিশ বছর যাবৎ এখানে ফুচকা বিক্রি করছি। বিভিন্ন এলাকার বখাটে ও মাদক সেবন কারীর উৎপাতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলাম,তবে এখন আর আগের মত পরিবেশ নেই, খুব শান্তিতেই ব্যবসা করে যাচ্ছি এই আনসার কমান্ডার আসার পর থেকে। সন্ধ্যা হলেই মাদক সেবী ও বখাটে দের মাঠ থেকে বাহির করে দেয় এখন। সন্ধ্যা ছয়টার পরে মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়,তখন আর ভিতরে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। এখনের মতো সুন্দর মনোরম পরিবেশ এর আগে কখনো দেখি নাই।
মাঠের উত্তর পাশ্বের চায়ের দোকানদার মোঃআব্দুল কুদ্দুস জানান সন্ধ্যা হলেই আনসার সদস্যরা মাঠ থেকে মাদক সেবীদের বাহির করে দেয়ায় তারা আর ভেতরে ঢুকে পারেনা,তাই আর আগের মত আড্ডাও দিতে পারেনা,এরকম প্রতিনিয়ত তাদের বের করে গেট বন্ধ করে দেওয়াতে, এখানে আর সুবিধা করতে পারে না ওরা, তাই বখাটে ও নেশাখোরদের অত্যাচার থেকে আমরা সবাই শান্তি পেয়েছি।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী নিবাস এর আবাসিক এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা প্লাটুন আনসার কমান্ডার মোঃ শাহ আলম সরকার তিনি সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ শামীমুর রহমান পিএসসির অবসরপ্রাপ্ত ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জোন অধিনায়ক ডি এম এ (পূর্ব) মোঃফয়সাল হোসেন স্যার সহ সকল ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ও সার্বক্ষণিক সহযোগিতয় অসম্ভব কাজ করার সম্ভব হয়েছে।