কুমিল্লা কেটিসিসিএ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনী মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধার অভিযোগ করেন সমবায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাশীরা।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা কেটিসির ভেতরে এ বাধার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কুমিল্লা কেটিসিসিএ লিমিটেড এর সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আহমেদ, সাবেক সচিব অ্যাডভোকেট আখতার হোসাইন, নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম, তাজুল ইসলাম মানিক, জামাল উদ্দিন, ডা. ইয়াছিন, ফজলুল হক, সার্জেন্ট শামসুল হক, ওমর ফারুক চৌধুরী সহ আনুমানিক ২০/২২ জন মনোয়ন ফরম কিনতে কেটিসির ভেতরে গেলে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুনায়েদ সিকদার তপুর নেতৃত্বে ৫০/ ৬০ জন বহিরাগত লোকজন প্রকৃত সমবায়ীদের ফরম নিতে ও ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয় এবং স্থানীয় সংসদের নির্দেশে তারা বাধা দিচ্ছেন বলেও জানান।
কেটিসিসিএ লিঃ এর সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক বলেন, আক্তার হামিদ খানের হাতে গড়া কেটিসিকে বাঁচাতে সকল সমবায়কে এগিয়ে আসতে আমরা সাবেক কয়জনসহ কেটিসির ভেতরে প্রবেশ করি। এক পর্যায়ে তারা এমপি বাহারের নির্দেশে বাধা দিচ্ছে বলার পর আমাদেরকে বের করে দেয়। আমি বলেছি এমপি বাহারতো একথা কখনও বলবেনা। তবুও তারা জোরাজুরি করেছে। সবশেষে ফরম কিনতে দেয়নি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি স্থানীয় এসিল্যান্ডকে বারবার ফোন করেও না পাওয়ায় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করি। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসিল্যান্ডকে বিষয়টি অবহিত করেন। দেখি ওনারা এখন কি সিদ্ধান্ত নেয়।
অভিযোগ ব্যক্তি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জুনাইদ শিকদার তপু বলেন, এমপি সাহেব যদি তাদেরকে ফরম নিতে বলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ওনি অনুমতি দিলে ফরম কিনতে পারবে।
এ বিষয়ে কেটিসি নির্বাচনের সভাপতি ও সহাকরী ভূমি কর্মকর্তা বলেন, আমি রাষ্ট্রীয় কাজে ঢাকায় আছি। বিষয়টি দেখার জন্য পরিদর্শককে বলেছি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে সদর আসনের মাননীয় সাংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার কে কল দিলে তিনি একটি প্রোগ্রামে আছেন বলে প্রতিবেদককে জানান।