নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার কালীগঙ্গা নদীতে নৌকাবাইচ দেখতে গিয়ে সিফাত হোসেন (১৬) ও ওয়াসিম (১৭) নামের দুই স্কুলছাত্র নিখোঁজের তিন দিন পর লাশ হয়ে ফিরল বাড়িতে। রোববার বিকালে ও সোমবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত সিফাত হোসেন উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের প্রবাসী নুরুল ইসলাম ওরফে মান্নানের ছেলে ও ওয়াসিম লক্ষ্মীপুর গ্রামে তোফাজ্জলের ছেলে। তারা দুইজনই সাহরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিংগাইর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের পাতিলঝাপ কমিটির উদ্যোগে কালীগঙ্গা নদীতে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। নৌকাবাইচ দেখতে বিভিন্ন এলাকার হাজার দর্শকের সমাগম ঘটে। উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের প্রবাসী নুরুল ইসলাম ওরফে মান্নানের ছেলে সাহরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সিফাত ও ওয়াসিমসহ ২০-২৫ জন বন্ধু নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে বাইচ দেখতে যায়। এ সময় নৌকাবাইচ আয়োজক কমিটির ট্রলারের ধাক্কায় অপর ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে সিফাতসহ ৭-৮ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়।
পরে পরিবারের লোকজন ঐ দিনগত রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ২ জন ছাড়া বাকিদের উদ্ধার করা হলেও লক্ষ্মীপুর গ্রামে ওয়াসিম ও শ্যামনগর গ্রামের সিফাত খোঁজ মেলেনি। পরদিন রোববার বিকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সিফাতের মামা চারিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান রিপন হোসেন জানান, রোববার সকাল থেকে দোহারের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলসহ আমরা সারা দিন কালীগঙ্গা নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি কিন্তু সিফাতের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান শেষ করে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলা সায়েস্তা ইউনিয়নের মোসলেমাবাদ এলাকার জিয়ানগর বস্তির ঘাটে সিফাতের লাশ ভাসতে দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। সকাল ৮টার দিকে আমরা লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। সোমবার সকাল ১০টায় শ্যামনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।