শিরোনাম
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই: মুহাম্মদ সাইদুর রহমান সাংবাদিক শভ্র’র দায়ের করা মামলায়,আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ”সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হার্ড লাইনে ডুমুরিয়া চানপুরে ২০ কোটি টাকার সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণের কাজ চললেও প্রশাসন নীরব কুমিল্লা অন্ধকল্যান সমিতির ১৭ কোটি ২২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট হিমাগারে জেসিআই ঢাকা প্রেস্টিজের ব্যতিক্রমধর্মী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ঘুষের টাকায় রাজউকের চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন কামরুজ্জামান | পর্ব-০১ পুকুর ভরাট নিয়ে নিরব ভূমিকায় কুমিল্লার বেয়াদপ প্রশাসন বরিশাল সরকারি মডেল কলেজ: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ইসলামী আদর্শভিত্তিক নেতৃত্বই জাতিকে সঠিক গন্তব্যে নিতে পারে: -মাওঃ আঃ জব্বার বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা জরুরী : -মাওলানা আঃ জব্বার

মূল্যায়ন পরীক্ষার  নামে হাজার টাকা ফি আদায়! বিড়ম্বনায় পরিক্ষার্থীরা

Nasir Uddin Pollob

সাইদুল ইসলাম : দোহার প্রতিনিধি (ঢাকা) :

ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৩৮ নং চর হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরিক্ষার জন্য সার্টিফিকেট ও পরীক্ষার  ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ১০০০( এক হাজার টাকা)। ফি না দিতে পেরে পরীক্ষা  থেকে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন  অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীরা। মাহমুদপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা ঐ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর পরিক্ষার্থী বলেন, আমার কাছে ক্লাস টিচার মনরঞ্জন চক্রবর্তী স্যার সার্টিফিকেট দিতে ও পরীক্ষার  ফি বাবদ ১ হাজার টাকা চেয়েছে। আমি এত টাকা কিভাবে দেব। আর টাকা না দিলে পরীক্ষাও দিতে  পারবোনা।

আফসানার অভিযোগ নিয়ে সরজমিনে হোসেনপুর বিদ্যালয়ে গেলে কথা হয় শ্রেণী শিক্ষক মনরঞ্জন চক্রবর্তীর সাথে। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি এই টাকা নিয়েছেন। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আক্তার বলেন, আমাদের ইআইএন নাম্বার না থাকায় মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায়  অংশ নিতে দেই। শেখানে প্রধান শিক্ষকের কাছে আমাদের ১ হাজার টাকা জমা দিতে হয়।

এবিষয়ে মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ৬শ ৫০ টাকা করে নিয়েছি। কি কি খাতে এই টাকা নেয়া হলো এবিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফি ও পরীক্ষার  ফি বাবদ এ টাকা নেয়া হয়েছে। এসময় তিনি কোন প্রকার রশিদ দেখাতে পারেননি। পরে সংবাদটি প্রচার করতে নিষেধ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম করে টাকা লুটপাট করে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন কামাল হোসেন।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা পারভিন বলেন, এভাবে টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। যার এই ঘটনার সাথে জড়িত  তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষা  থেকে যেন বাদ না পরে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, এটি একটি বড় অপরাধ। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত  তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  নেয়া হবে।

Leave a Reply