শুভ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে এগিয়ে চলছে সরকারের কার্যক্রম। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নির্দেশনায় দেশজুড়ে চলছে দুর্নীতি বিরোধী সর্বাধিক অভিযান। যত প্রভাবশালী এবং সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলের যত ঘনিষ্ঠই হোন না কেন ছাড় পাচ্ছেন না কোনো অপরাধীই।
ঢাকা কেরানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (৪) আউতা ভুক্ত কলাতিয়া জোনাল অফিসের (পিইউসি) দীপক কুমার কর্মকারের ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ ইলেকট্রিশিয়ানরা। টাকা না দিলে ফাইল ছারেন না। প্রকাশে ঘুষের টাকা প্রসাদ মনে করে নিয়ে থাকেন দীপক।টাকা না দিলে দেখান নানা ধরনের তাল বাহানা।
একাধিক ইলেকট্রিশিয়ানরা বলেন দীপক সরাসরি বলেন।ঘুষের টাকা আমি একা নেই না,এজিএম থেকে দিতে হয় জিএম পর্যন্ত। আরও বলেন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাড়ি একই জেলায় তাই আমি দীপক চাকুরী হারানোর ভয় করিনা। দীপকের বিরুদ্ধে সকল ইলেকট্রিশিয়ানরা প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন আর ই বির চেয়ারম্যান বরাবর। ঘুষের টাকা লেন দেনের একাধিক কল রেকর্ড ও ভিডিও জমা দিয়েছেন সংবাদ কর্মীদের হাতে।
সকলের একই কথা কলাতিয়া জোনাল অফিসের আওতা ভুক্ত ইলেকট্রিশিয়ানরা গ্রাহকের কোন কাজ পিউসি দীপকের কাছে নিয়ে গেলেই শুরু করেন না বাহানা প্রকাশে টাকা চেয়ে থাকেন দীপক, চাহিদা মতো টাকা না দিলে ফাইল ছারেন না বিধায় অতিষ্ঠ হয়ে সকল ইলেকট্রিশিয়ানরা ও সাধারণ মানুষ মিলে গতকাল সকালে কলাতিয়া বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মানববন্ধন করেন।
দীপক হঠাও বিচার কর শ্লোগান দিতে থাকেন ভুক্ত ভুগিগণেরা। একাধিক সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে যানতে চাইলে, তারা বলেন পি ইউ সি দীপকের কাছে আমরা সরাসরি কোন আবেদন নিয়ে গেলে প্রথমে আমাদের কাছে যানতে চান, ইলেকট্রিশিয়ান’কে কত টাকা দিয়েছেন।
দীপক প্রথমে গ্রাহকের কাছে যানেন কত টাকা, তারপর ইলেকট্রিশিয়ানের কাছে মোটা অংকের দাবী করেন দীপক। চাহিদা মতো না পেলেই শুরু করেন তাল বাহানা, ভুক্তভুগি ইলেকট্রিশিয়ান যারা অভিযোগ করেছেন, শিমুল হোসেন, মেহেদি হাসান, শাহিন, আরিফ হোসেন, মানিক, খোরশেদ আলম, নাসির উদ্দিন মুন্সি, জাহিদ হোসেন, মাসুদ, সজীব হাউলাদা, রোকন, শরীফ হোসেন গাজী।
অভিযোগ উঠেছে ভুনিহিন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ইলেকট্রিশিয়ানের পারিশ্রমিকের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন পিইউসি দীপক। আসাদউজ্জামান নামের লোকাল ইলেকট্রিশিয়ান বলেন সিরাজপুর চান্দুর ইউনিয়নের আটিপারা গ্রামে ভূমিহীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ আমাকে দিয়ে প্রায় ১৮৪ টি ঘড়ের বিদ্যুতের কাজ করান দীপক।
কিন্তু আমি একজন অসহায় গরীবের ছেলে বিধায় আমার পারিশ্রমিকের টাকা মেরে দেন পি উ সি দীপক। এনিয়ে দীপকের সাথে আমার একাধিকবার কথা কাটাকাটি হলে দীপক আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে বলেন টাকা চাইলে যানে মেরে ফেলবো।
আজকের পরে কলাতিয়া বিদ্যুৎ অফিসের আশপাশে দেখলে দালাল বলে পুলিশে ধরিয়ে দিবো। প্রায় ছয় বছর আগে গণমাধ্যমে অনৈতিকের খবর প্রকাশ হলেও (আরইবির) তদন্ত কর্মকর্তাদের মেনেজ করে পার পেয়ে যান। উল্লেখিত বিষয়ে মুঠোফোন জি এম মোঃ আলির কাছে যানতে চাইলে তিনি বলেনঃ
আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।তবে অভিযোগের প্রেখিতে দীপকের ব্যাপারে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। প্রমান পেলে আমাদের হেড অফিস থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখিত বিষয়ে মোঠ ফোনে যানতে চাইলে তিনি বলেনঃ আমার বিষয়ে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।