দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ .
- ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার তানজিলা আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নতুন বান্দুরা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিলা ওই এলাকার প্রবাসী মো. ইমরানের স্ত্রী এবং উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের বক্তারনগরের আব্দুল কাদের এর মেয়ে। নিহত তানজিলার বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
ইমরানের পরিবার জানান, শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টায় তানজিলাকে ডাকতে যায় তার শ্বাশুড়ি। তবে তানজিলার ঘর ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় এবং তার কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে তানজিলাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় দেখতে পায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ বাসায় আনা হলে পুলিশ বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর বাবা আব্দুল কাদের জানান, ৩ বছর আগে নতুন বান্দুরার মো. দেলোয়ারের ছেলে ইমরানের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তানজিলাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করাতো। তারপরও অত্যাচার সহ্য করে মেয়ে সংসার করছিলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামাই ইমরানের নির্দেশে তার মেয়েকে গলা টিপে মেরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
আব্দুল কাদের আরো অভিযোগ করে বলেন, নির্যাতন করায় প্রায় ১ বছর আগেও তার মেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তী শিকারীপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আর নির্যাতন করবে না মর্মে মিমাংসা হয়েছিল। কিন্ত এরপরও তারা বারবার তার মেয়েকে মারধর করেছে। তার অভিযোগ, মেয়ের স্বামী ইমরান ৪/৫ দিন আগে তাকে হুমকি দিয়েছিল তানজিমকে মেরে ফেলার।
তবে মেরে ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করে ইমরানের পরিবার।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, তানজিলা নামে কোন রোগী আজ ( শনিবার) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেনি।
দোহার সার্কেল এএসপি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।