জুয়েল খন্দকার, নিজস্ব প্রতিবেদক:– কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলা থেকে ঘুরে এসে। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার ও মুরাদনগর উপজেলা হাইওয়ে রোড সহ মফস্বলের সকল বন, রাস্তার গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের ক্লিন মিশনে নেমেছেন দেবিদ্বার ও মুরাদনগরের ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিন শুধু তাই নহে ঘুষ নিয়ে রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করা সহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ফতেহাবাদ ইউনিয়ন সুলতানপুর পাকা রাস্তার পশ্চিম দিকে ২০০ গজ সামনে কুটনা পাকা রাস্তার পাশে ২ লাখ টাকার সরকারি গাছ ও খলিল পুর বাজার থেকে বুড়ির পাড় বাজার যেতে ৩০০ গজ সামনে পাকা রাস্তার দুই পাশে প্রায় ২ লাখ টাকার সরকারি গাছ বিক্রি করতে দেখা যায়! ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিনকে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘরের বাসিন্দা তার বাড়ি দেবিদ্বার হওয়াতে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে নানান অপকর্ম সহ ঘুষ বানিজ্য করেই যাচ্ছেন। এইসব কোঠায় সাংবাদিকও বিরাজমান! তবে ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিনকে দেবিদ্বারের স্থানীয় বাসিন্দা হয়েও কি ভাবে সে নিজ এলাকায় ফরেস্টে চাকরি করেন তা আজও আমাদের বোধগাম্য নহে!
দেবিদ্বার ও মুরাদনগর দুই উপজেলার মাঝামাঝি অবস্থিত ফেরেস্ট অফিস। সরকারী কর্মকর্তা রাস্ট্রিয় আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে আইনের রক্ষক হয়ে ভক্ষণ করছেন সে সব কিছু নিজে একাই। ঘটনার স্থলে গিয়ে জানা যায় যে সে নিজেই সরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করেন বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করেন। কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলা ফতেহাবাদ ইউনিয়ন খলিল পুর বাজার এলাকায় ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিন মৌখিক ভাবে গাছ কাটার অনুমতি দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটিয়ে বিক্রি করেন যার কোন মৌখিক অনুমতি দেওয়ার কোন ক্ষমতাই তিনি রাখেন না। তবে ঘটনারস্থলে গিয়ে জানা যায় উক্ত গাছ গুলি সরকারি রাস্তার।
ফতেহাবাদ ইউনিয়ন খলিল পুর বাজার থেকে পুর্ব দিকে সুলতানপুর যেতে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার পাশে সরকারি গাছের টেন্ডার পেয়েছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, এই দুই কিলোমিটারের মাঝ খানে প্রায় ২০০ গজ জায়গার টেন্ডার করা হয়নি এই সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী হাজী মতিন তার আশেপাশে প্রায় ২০ টি গাছ কেটে বিক্রি করছেন। উক্ত বিষয় দেবিদ্বারের সাংবাদিকদের মধ্যে জানা-জানি হলে সাংবাদিকেরা ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিনকে জানালে তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী হাজী মতিনকে ডেকে নিয়ে তার ছেলের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে উক্ত বিষয় ধামাচাপা দেন। ঘটনারস্থলে গিয়ে প্রভাবশালী হাজী মতিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিনকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়েই শেষ করেছি! গাছ কাটার আগে ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিনকে জানিয়ে কেটেছি কিন্তু সাংবাদিকেরা জানা জানি হলে সে স-মিলে গাছ গুলি বিক্রি ছাড়া অনেক দিন পরে ছিলো পরে গাছ গুলি বিক্রি করে তাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে। উক্ত বিষয় ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এইসব অভিযোগ মিথ্যা আমার জীবন দশায় কখন কোন দিন ঘুষ নেইনি সবাই খায় কিন্তু আমি খাই না বলে তিনি আল্লাহ ফেরেস্তা বলে দাবিও করেন ও ঘুষের বিষয় তিনি জায়েজ করে নিয়ে অভিযোগ কারীদের মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন মাত্রই। তবে দেবিদ্বারের বিভিন্ন সাংবাদিকদের সাথে কথা বললে জানা যায় যে ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিনকে এই বিষয় জানতে আমরা ফোন করলে তিনি বলেন আমি হাজী মতিনকে বার বার নিষেধ করা সত্যেও গাছ গুলি কেটেছেন আমি এই বিষয় দেখব বলেন কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি ৫০ হাজার টাকা ঘুষ বাবদ নিয়েছেন এই অঞ্চলে বিভিন্ন গাছ কাটা থেকে চার লক্ষ টাকা ঘুষ লেনদেন করেছেন বলে আমরা জানতে পারি।
গত ১৪/০৬/২০২৪ ইং তারিখে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে স্থানী ছেচড়া নেতা নাজীর হাজী মতিন থেকে ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিন ঘুষ লেনদেনের সময়ে ভাগ না পেয়ে সে ফরেস্ট এর টেন্ডারের গাছ খুদাই করে রাখা নাম্বার না দেওয়া ৮/১০ গাছ কেটে পিক-আপ এতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বিক্রির জন্যে উক্ত বিষয় ঘটনারস্থলে থেকে সাথে সাথে ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিনকে ফোন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন যে এই গুলি মালিকানা গাছ তাদের গাছ তারা কাটে আমাদের কি বলার আছে অথচ এই গাছ গুলিও টেন্ডার হওয়ার কথা ছিলো ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিন খুদাই করেছিলেন কিন্তু নাম্বার বসায়নি কেন তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি এখনো পর্যন্ত ফরেস্ট অফিসার এর কাছ থেকে। ঘুষ বানিজ্যের কারনে সরকারি সম্পদ হরিলুট হয়েছে।
ঐদিনেই এতিমপুর হাজী আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধেও একাধিক গাছ কাটার অভিযোগ রয়েছে তাকে সজমিনে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিনকে জানিয়ে কাটা হইছে কোন রসিদ দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে সে জানান কোন রসিদ দেওয়া হয়নি মুখিক জানিয়ে কাটা হইছে। তার পাশে আরেকজনকে গাছ কাটতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে সেও বলেন মুখিক অনুমতি দিয়েছেন ফরেস্ট অফিসার কোন রসিদ দেয়নি তিনিও এ কথা জানায়।
কুমিল্লা থেকে দেবিদ্বারে ঢুকতেই রাস্তার চারপাশে শুধু গাছ কাটা চলছে শুধু তাই নহে দেবিদ্বারের যেই ধিকেই যাবেন গাছ কাটার দৃশ্য কোথাওনা কোথাও আপনার চোখে পরবেই। ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিন ধ্বংস করছেন পরিবেশের ভারসাম্য এতে করে পাখির জাত পরছেন চরম হুমকির মুখে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের সৌন্দর্যতা, ভবিষ্যতে দেবিদ্বারের মানুষ চরম অক্সিজেন হীনতায় ও প্রচন্ড গরমে ভুগতে পারে এমন ভাবে চলতে থাকলে।
ফরেস্ট অফিসার মোঃ আঃ মতিন নিজ এলাকায় কি ভাবে চাকরি করেন উক্ত বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকার দিয়েছে কার কিবা করার আছে! সরকার যা পারে করতে পারে এই দেশে ভালো কে? সরকার ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে কে কি করতে পারছে সরকারের বিরুদ্ধে লিখেন? কুমিল্লা এলজিডি ১২ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে লিখে, এলজিডি দেবিদ্বারের কাজের ৭ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে লিখেন আমি নিজে অথ্য-দেব বলে তিনি তার ঘুষ খাওয়াকে জায়েজ করে নিয়েছেন আমাদের কাছে। সরকারি চাকরি করে তিনি সরকারের বেতন বোনাস নিয়ে চলেন অথচ তিনি সরকারের দুর্নাম ছরাচ্ছেন।