শিরোনাম
অবশেষে ৩৩ বছর পর গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য উম্মুক্ত হলো রংপুর প্রেসক্লাব রংপুর শ্রম দপ্তরে সহকারীর রাজত্ব: আদালতে মামলার অজুহাতে ঘুষ বাণিজ্য এপিপি আরিফের বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিককে হেনস্থা ও হুমকির অভিযোগ কুমিল্লা শহর যানজট মুক্ত করতে ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে কুমিল্লা জেলা পুলিশ কামরাঙ্গীচর থানা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত,আহব্বায়ক মোহাম্মাদ নাঈম কুমিল্লায় বিদেশি অস্ত্র ও মাদকসহ ২ যুবক গ্রেফতার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ভূল করে আবারও ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়া যাবে না : মির্জা ফখরুল আজ দুপুর দুইটায় নিজ আসনে মির্জা ফখরুলের ইলেকশন জার্নি সিলেটে কোম্পানীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের আত্মপ্রকাশ  জাপানের টোকিওতে ওয়েসকা ইন্টারন্যাশনাল বোর্ড মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন : অরিত্র রহমান

গণপূর্ত অধিদপ্তরের পবিত্র’র যত অপবিত্র কর্ম অনিয়ম ও দুর্নীতির তিনি যেন এক ‘মাস্টারমাইন্ড’

S M Rashed Hassan

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

পবিত্র চন্দ্র দাস, গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী কিন্তু তার কাজের সাথে নামের ফারাক যেন আকাশ পাতাল। নাম পবিত্র হলেও অনিয়ম ও দুর্নীতির তিনি যেন এক ‘মাস্টারমাইন্ড’।

দরপত্রে অনিয়ম, কাজের আগে বিল পরিশোধ, দির্ঘদিন ধরে প্রাইজপোস্টিং প্লেস অর্থাৎ ঢাকায় পদায়ন, একসঙ্গে দুই সংস্থায় চাকরি এবং চাকরিচ্যুত হওয়ার পর পুনরায় চাকরিতে ফেরার মতো ঘটনা ঘটছে গণপূর্ত অধিদপ্তরে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রথমে ঢাকঢোল পিটিয়ে তদন্ত শুরু হলেও পরে সব মিটমাট হয়ে যায়। ফলে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া প্রকৌশলীদের আর শাস্তি পেতে হয় না।

অনুসন্ধানে অধিদপ্তরটির এক নির্বাহী প্রকৌশলীর বেশ কিছু অপকর্মের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বলছি গণপূর্ত বিভাগ-৬ এর ই/এম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস এর কথা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চাকরিজীবনে বেশির ভাগ সময় পবিত্র কাটিয়েছেন ঢাকায়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর উন্নয়ন প্রকল্প, পুলিশ ও র‍্যাবের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যপক দুর্নীতি করেছেন তিনি। বিলে নয়-ছয়, কমিশনের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ায় সিদ্ধহস্ত তিনি। এরই মধ্যে দুইটি কাজে তার এহেন অপকর্মের প্রমাণ মিলেছে তার বিরুদ্ধে।

শুধু তাই নয় গণমাধ্যমকে ম্যানেজ করার জন্যও রয়েছে তার বিশ্বস্ত লোক, যিনি গণপূর্ত অধিদপ্তরেই কর্মরত। পবিত্রর রয়েছে একটি শক্ত সিন্ডিকেট। যার মাধ্যমে বদলি বানিজ্য করে বাগিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এই প্রসঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, তার কিছুই হবে না। সে আশির্বাদপ্রাপ্ত।

আরেকটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র কুমার দাস দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নামে বেনামে বিনিয়োগের পাশাপাশি হুন্ডির মাধ্যমে পাশের দেশ ভারতেও বিশাল অংকে পাচার করেছেন।

উপরোক্ত বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্রকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন তিনি রিসিভ করেননি। মুঠ ফোনে হতে পারতো পাঠালেও কোন প্রকার উত্তর দেননি।চলবে….

Leave a Reply