কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আয়তনে ২৭০ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের বুক জুড়ে প্রায় ১৩টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই চৌদ্দগ্রাম। ইজারাকৃত বাজারের সংখ্যা প্রায় ৩০টি, হাট বা দৈনিক বাজারে সংখ্যা ছোট বড় ৫০টি, মহাসড়কে যাত্রী সেবায় নিয়োজিত খাবার হোটেল সংখ্যা প্রায় ১০টি, ট্রাকের হোটেল সংখ্যা প্রায় ৩০টি, বেকারি ও আইসক্রিম কারখানা প্রায় ৩৫টি, হাঁস মুরগী খামার প্রায় ৪০০টি, হাটবাজারে মাংসের দোকানের সংখ্যা প্রায় ৩০০টি, বৈধ অবৈধ মিষ্টি কারখানা প্রায় ১৫টি, সাধারণ মিষ্টি দোকান প্রায় ১০০টি,
এ উপজেলার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মাহাতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল, মিষ্টি দোকান সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অনৈতিক অর্থ আদাায়ের অভিযোগ রয়েছে। মাহাতাব উদ্দিন স্যানেটারী ইন্সপেক্টর পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সদস্য। এই নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে আলোচনা সমালোচনা চলছে।
সরজমিন তদন্ত করে জানা যায় মাহাতাব উদ্দিন চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা ব্যতীত উপজেলার ব্যাপী স্যানেটারী ইন্সপেক্টর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় সব মিষ্টি দোকান অভিযানের কথা বলে টাকা আদায় করেন। লোক দেখানো মাঝে মধ্যে অভিযান করলেও অভিযান পরবর্তী ১০/১৫ হাজার টাকা দোকান থেকে আদায় করেন অভিযান প্রধান ব্যক্তির নাম করে।
আরও জানা যায়, সরকারি বেতনের সাথে বাসা ভাড়া বা ভাতা সুবিধা নিয়ে থাকলেও তিনি চৌদ্দগ্রাম বাজারত্ব স্যানেটারী কার্যালয়ে রাত্রি যাপন করেন। এবং প্রায় তিন বেলা পাশ্ববর্তী ভোজন বিলাস ফ্রি খেয়ে থাকেন। তাছাড়া বিসমিল্লাহ সুইটস, লোকনাথ সুইটস সহ প্রায় সব মিষ্টি দোকান থেকে দৈনিক মাসহারা নেন বলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন।
উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর দায়িত্ব ভেজাল মুক্ত, নিরাপদ খাদ্য, ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতি টি গবাদিপশু ও ছাগলের মাংস বিক্রয়ের আগে যাচাই-বাছাই করা কিন্তু অধিকর তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিভিন্ন বাজার মাংসের দোকানদার থেকে নিদিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে মাংস ব্যবসায়ীগন অনুমতি নিয়ে থাকেন।
এছাড়া চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা সহ উপজেলা ব্যাপী প্রায় প্রতি টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে মাসিক হারে অর্থ আদায় করেন বলে জানা যায়। শুধু তাই নয় কোন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক নিয়ে অনিয়ম, ভূল চিকিৎসা অভিযোগ আসলে তদন্তের নামে এই সব প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের ও অভিযোগ পাওয়া যায়। এবং চৌদ্দগ্রাম স্ব্যাস্থ্য খাতে প্রায় ১ডজন কর্মকর্তা বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে সংবাদ প্রকাশিত করার লক্ষ্যে আমাদের প্রতিনিধি কাজ করছেন।
এ বিষয়ে মাহাতাব উদ্দিন কে জানতে চাইলে অর্থের বিনিময়ে সমাধান ও সংবাদ প্রকাশিত না করার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্ব্যাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া টিপু কে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন নি।