কুমিল্লা জেলা, মুরাদনগর উপজেলা ,ছালিয়াকান্দি গ্রামের ফারুক আহমদ। ২০০৭- ২০১০ ইং সালে শেয়ার ব্যবসার সুবাদে পরিবার গোত্র পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন হতে ব্যবসায় লাভ দিবে বলে, প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। অতঃপর প্রায় নয় থেকে ১০ বছর আত্মগোপনে চলে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ ইং সালে বড় ভাইয়ের নামে দুটি চেকে (২০০০০০০+২০০০০০০)=৪০০০০০০(চল্লিশ লক্ষ) টাকা ডিজঅনার করে মিথ্যা দাবি করে। যা তার নিজের কাছে চেক নিজেই স্বাক্ষর দেয়। যা জালিয়াতি চেক নং 0858056 এবং 0858058। অতঃপর মামলা নং-৭৩০/২৪(গাজীপুর কোর্ট) মিথ্যা দাবিকৃত ৪৮০০০০০/- (আটচল্লিশ লক্ষ) টাকা মাত্র। তাছাড়া তার নামে চলমান মামলা নং-৩৯৫/২৪(কুমিল্লা কোর্ট), মামলা নং-৬১/২৪(কুমিল্লা কোর্ট), মামলা নং-৪৩/২২(কুমিল্লা জজ কোর্ট)।
শেয়ার ব্যবসার ব্যাপ্তি প্রয়োজনে ফারুক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, লোকাল প্রিন্সিপাল অফিস ,মতিঝিল ঢাকা, এবং ইত্তেহাদ সিকিউরিটি লি:, ১৫৮ মাহমুদা বিল্ডিং, মতিঝিল, ঢাকায় যথাক্রমে ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলে। গ্রামের সহজ সরল মানুষের ছবি এনআইডি ইত্যাদি নিয়ে নামে বেনামে স্বাক্ষর জাল করে নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে প্রায় ১৫/২০ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ১৫/ ৩০ টি শেয়ার (BO) account open করে। এমতাবস্থায় হেরাকলে আটকধারি A/C holder গণ নিজ স্বাক্ষর না হওয়ায় ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করতে পারছে না। এদিকে ফারুক আহমদ পরিবারের একত্রীভূত জমি বন্ধক, গাছ বিক্রি, আসবাবপত্র এবং পাওনাদআরদের চেক ডিজঅনার মামলার ভয় অব্যাহত রেখেছে। ফারুক হেরাকলে বিপদগ্রস্থ Bank A/C ও BO অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের তালিকাও ইতিমধ্যে দেশপত্রের কাছে এসেছে। তার কাছে আটককৃত চেকের খতিয়ান থেকে দেখা যায় তার কাছে প্রায় ১০৭ টি রয়েছে। এই চেকগুলো আটকে রেখে ফারুক আহমদ নামক অসৎ ব্যাক্তি একাউন্ট হোল্ডারদের বিশেষ ক্ষতি সাধন করছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় সে গাজীপুরে UTTA Group নামক একটি ফ্যাক্টরিতে চাকুরী করে।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন, তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং তল্লাশি করে তার থেকে আআটককৃত চেকগুলো উদ্ধার করা প্রয়োজন। এই উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নিতে চাইলেও, তার পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব হয়নি।