শিরোনাম
দীপশিখার হিয়ারিং স্ক্রিনিং ক্যাম্পে শ্রবন প্রতিবন্ধী শিশুদের ফিরছে শ্রবন ডিএমএফ অ্যাওয়ার্ড পেলেন খান শান্ত রংপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ময়মনসিংহে অবৈধ গ্যাস সংযোগে চুনের কারখানা পরিচালনা করায় আটক -১৫ টিকাদান শতভাগ সফলতার জন্য সাংবাদিকদের প্রচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ -ড.মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম রাণীশংকৈলে শ্মশান দখল করে দোকান নির্মাণ, উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন ফার্মগেটে মেট্রোরেলের স্প্রিং ছিটকে পড়ায় পথচারীর মৃ/ত্যু, চলাচল বন্ধ রংপুরে চিড়িয়াখানার ভেতরের শিশুপার্কে ট্রেনের নিচে পড়ে আড়াই বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে রংপুরে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে ব্যাংক কর্মকর্তার ১ মাসের জেল সাংবাদিকতায় সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের মানুষিকতা থাকতে হবে প্রশিক্ষণ কর্মশালায়-শিবলী সাদিক খান

গাজীপুরে ঘটনার আড়ালের সাংবাদিককে তুলে নিয়ে ছিদ্দিক বাহিনীর হুমকি।

Mehraz Rabbi

নিজস্ব প্রতিবেদক।। গাজীপুরে সাপ্তাহিক ঘটনার আড়ালের নিজস্ব প্রতিবেদক মেহেদী হাসান সবুজকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে ছিদ্দিক বাহিনী।

সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার কুমিল্লা হোটেলের পাশ থেকে বুধবার রাত ১১টার দিকে তাকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার জয়দেবপুর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত আবু বকর ছিদ্দিক ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

গত ২৫ নভেম্বর ঘটনার আড়ালের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘গাজীপুরে ছিদ্দিক চেয়ারম্যানের ভেলকিবাজি, দেড় দশক আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থেকে এখন জেলা বিএনপির অন্যতম হর্তাকর্তা’ শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলে ব্যাপক তোলপাড়। পরে আবু বকর ছিদ্দিকের লোকজন ঘটনার আড়ালের নিজস্ব প্রতিবেদক মেহেদী হাসান সবুজের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকেন।

সাংবাদিক সবুজ জানান, তিনি কাজ শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক পথরোধ করে তাকে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে তুলেন। পরে একাধিক জায়গা ঘুরে বাঘের বাজারের উত্তরে পড়শিবাড়ী রেস্টুরেন্টে নেওয়া হয়।

সেখানে আগে থেকেই আবু বকর ছিদ্দিক ও জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দিনসহ অন্যরা অবস্থান করছিলেন। পরে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

সবুজ বলেন, আবু বকর ছিদ্দিক আমাকে ‘মিথ্যা নিউজ’ মর্মে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য চাপ দেন। কয়েকজন মোবাইলে ভিডিও শুরু করেন। কিন্তু আমি সত্যে অটল থাকি। আপত্তি থাকলে তাদেরকে সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলতে ও নিউজ চ্যালেঞ্জ করতে বলি।

তিনি বলেন, বিবাদীরা স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বানিয়ারচালার আবদুল কাদেরের ছেলে সাদ্দাম একাধিকবার মারপিট করতে উদ্যত হন। এক পর্যায়ে অন্য লোকজনের আনাগোনা বাড়তে থাকলে আমাকে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সাংবাদিক সবুজ বলেন, ঘটনার পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অভিযুক্তরা ঘটনার আড়ালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককেও উদ্দেশ্য করে ক্ষিপ্ত কথাবার্তা বলেছেন।

এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Leave a Reply