শিরোনাম
খুনীকে গ্রেফতারের দাবীতে হত্যাকারীও করে মানববন্ধন, অংশ নেয় দাফন ও জানাযায় রংপুরে রিতি আক্তার লাবণ্য প্রতাক সিন্ডিকেটের ফাঁদে মাসুদসহ অসংখ্য যুবক, কোন ভূমিকা নেই পুলিশের! রাজশাহীতে নেসকোর প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ১১ ডক্টরস পঞ্চগড় জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক হলেন কৃষিবিদ ড: আব্দুর রহমান ঠাকুরগাঁও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের চীফ ইনস্ট্রাক্টর দূর্ণীতির মহারাজা প্রকৌশলী অজয় রংপুর প্রেসক্লাব উম্মুক্তকরণ কার্যক্রমে ডিসির কোন সম্পর্ক নেই দৈনিক বায়ান্নোর আলো’র সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রেসক্লাবের ১০৫ সাংবাদিকের বরিশালে সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ ৩৫ সংগঠন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: নকল প্রসাধনী ব্যবসায়ীর জরিমানা ও প্রতিষ্ঠান সীলগালা নভেম্বর আসছে মোসাঃ আয়শা সিদ্দিকার প্রথম পরিচালিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের চলচ্চিত্র ‘মন যে বোঝে না’

শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ,প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক জাকির ,জেবুন্নেছাসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

Mehraz Rabbi

স্টাফ রিপোর্টার।। শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের,জাকির হোসেন,জেবুন্নেছাসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আদালতে দায়ের করা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকার নতুন বাজারে আগষ্ট বিপ্লবের সময় মো. আল আমিন(৩৫) নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির সদস্য জাকির হোসেন,সাবেক এমপি জেবুন্নেছা হিরনসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। ১ডিসেম্বর নিহতের আত্মীয় আব্দুর রহমান ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, শেখ হাসিনার ডাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে পরাজিত করার জন্য আসামীরা রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় অবস্থান করেছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামীরা একেকজন খুনি।হত্যার পরিকল্পনাকারি।দেশদ্রোহী। শেখ হাসিনার দোষর।অর্থ যোগানদাতা।শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামীরা ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করে।মো. আল আমিন একজন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধা ও সমর্থনকারী।

চলতি বছরের ৫ আগষ্ট নতুন বাজার সড়কে মো.আল আমিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।আসামীদের কারো নির্দেশ,কারো পরিকল্পনা, কারো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্দনে গুলিতে নিহত হয় মো.আল আমিন।মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার আল আমিন কে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহত আল আমিনের চাচা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে ৩০২ ও ৩৪ ধারার অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

এ হত্যা মামলার আসামীরা হলেন,সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির সদস্য জাকির হোসেন,সাবেক এমপি জেবুন্নেছা হিরন,রাজাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু,সাবেক স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল,ফজরে নুর তাপস,জাহাঙ্গীর কবির নানক,সালমান এফ রহমান,এ আরাফাত,বাহাউদ্দিন নাসিম,জিএম কাদের,রাজাপুরের আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান ওরফে কেন্দ্রীয় মনির,জাতীয় পার্টির মজিবুল হক চুন্নু,সেলিম ওসমান,গোলাম কিবরিয়া টিপু,ভরষা হাউজিংয়ের সাহেব আলী,আওয়ামীলীগ নেতা হারুনার রশিদ,মেজবা কামাল,শাহাবুদ্দিন সুরু,হালিম রেজা মোফাজ্জেলসহ ১৮৭ জন।

এ ব্যাপারে বাদী আব্দুর রহমান বলেন,আসামীরা খুনি। খুনিদের যথাযথ বিচারের দাবী জানাচ্ছি।আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।তিনি বলেন,আসামীরা ফ্যাসিবাদী ও ফ্যাসিবাদের দোষর। বিগত ১৬ বছর বিনে ভোটে ও রাতের ভোটে ক্ষমতা দখল করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচাঁর করেছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।শত শত মানুষকে গুম করেছে।

৫ আগষ্ট আল আমিনের মত শত শত মানুষের তাজা রক্ত কেড়ে নিয়েছে খুনিরা।খুনিদের আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

 

Leave a Reply