শিরোনাম
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই: মুহাম্মদ সাইদুর রহমান সাংবাদিক শভ্র’র দায়ের করা মামলায়,আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ”সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হার্ড লাইনে ডুমুরিয়া চানপুরে ২০ কোটি টাকার সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণের কাজ চললেও প্রশাসন নীরব কুমিল্লা অন্ধকল্যান সমিতির ১৭ কোটি ২২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট হিমাগারে জেসিআই ঢাকা প্রেস্টিজের ব্যতিক্রমধর্মী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ঘুষের টাকায় রাজউকের চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন কামরুজ্জামান | পর্ব-০১ পুকুর ভরাট নিয়ে নিরব ভূমিকায় কুমিল্লার বেয়াদপ প্রশাসন বরিশাল সরকারি মডেল কলেজ: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ইসলামী আদর্শভিত্তিক নেতৃত্বই জাতিকে সঠিক গন্তব্যে নিতে পারে: -মাওঃ আঃ জব্বার বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা জরুরী : -মাওলানা আঃ জব্বার

টাকা ছাড়া কোন কথা নেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ব্রীজ প্রকল্পের ডিপিডি আবু নাছের বাবরের

Mohin

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সম্প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আবু নাছের বাবর নামের একজন জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা১.৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে গ্রামীন রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পে ডিপিডি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। আবু নাছের বাবর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া যখন ত্রাণ মন্ত্রী ছিলে তখন তার দুর্নীতির মূল হোতা আকাশ কুমার ভৌমিকের একনিষ্ঠ লোক ছিলেন সহকারী-প্রকৌশলী বাবর এক সময় বন‍্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রকল্পে তখন টেন্ডারকৃত বন‍্যা আশ্রয় কেন্দ্রের দর পূর্বে জানিয়ে দিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ইনকাম করেছে।আকাশ কুমার ভৌমিক বাবরের মাধ‍্যমে অধিদপ্তরের দুর্নীতির সকল টাকা উত্তলন করতেন। কম্বল থেকে শুরু করে যতরকমের শুকনা খাবার এবং ঢেউটিনসহ সবকিছু প্রভাতী এন্টারপ্রাইজ এবং তালুকদার এন্ড কোং নামীয় আরো কয়েকটি ঠিকাদার বাবরের নিয়ন্ত্রিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নামে দরপত্র সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ঘোষণা করতেন। উল্লেখ‍্য যে আগে এই বাবর এই প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত অবস্থায় প্রকল্প পরিচালক আইনুল কবির এর সহযোগীতায় সঠিক পদ্ধতি না মেনে ১০৬ জন আউট সোর্সিং এ কার্যসহকারী নিয়োগ দেয়। কয়েকজন নিয়োগকৃত কার্য-সহকারীর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় পিডি এবং বাবর সিন্ডিকেট করে জনপ্রতি ৭/৮ লাখ করে টাকা করে আদায় করেন। যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের কাউকে এ প্রকল্পে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাছাড়া সে যখন ব্রীজের সহকারী প্রকৌশলী ছিল তখন কুমিল্লা, ময়মনসিং , মুন্সিগঞ্জের DRRO , একসময়ের HBB সহকারী প্রকৌশলী আরিফ, পিআইও দিলিপ, মুজিব কিল্লা প্রকল্পের আশফাক ইমতিয়াজ সহ আরও অনেকের থেকে সাবেক ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সিন্ডিকেট আকাশ বাবু সহ অনেকের কাছ থেকে ১০/১২ কোটি টাকা নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে দিবে বলে টাকা সংগ্রহ করেছে। তৎকালীন সময়ে কাউকেই দিতে পারেনি এবং তাদেরকে সেই টাকা ফেরতও দেয়নি তারা টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন মামলা হামলার হুমকির ভয়ভীতি দেখান, দুদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। এ বিষয়ে পিআইও , রাউজান উপজেলার আয়েশা ওনার সাথে কথা বলে জানা যায় অভিযোগটি সম্পূর্ণ সঠিক। তাছাড়া বর্তমানে ডিপিডি হওয়ার সুবাদে তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের মন্ত্রীর আর্শীবাদ প্রাপ্ত SELKON নামক ওনার এক ঘনিষ্ঠ কোম্পানিকে সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সকল গার্ডার ব্রীজের PIT টেস্ট এবং Bearing Plate টেস্ট করান এবং উচ্চমূল্যে Bearing Plate ওনার থেকে নিতে হবে সবচেয়ে বড় জালিয়াতি হলো টেস্টের নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট এর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে SELCON এর স্টীকার মেরে প্রতিটি ব্রীজ হতে প্রায় ১২০০০০/-এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা করে নগদে নিয়ে নিচ্ছে। SELKON থেকে টেষ্ট রিপোর্ট না করালে সেই ডিপিডির রুমে ফাইল আটকা পরে থাকে। মানিকগঞ্জ , টাঙ্গাইল , চট্টগ্রাম , কক্সবাজার , কুমিল্লা জেলার একাধিক ঠিকাদারের সাথে কথা বলে যানা যায় শুধু ফাইল ছাড়ানোর SELKON থেকে দ্বিতীয়বার করাতে বাধ‍্য করানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকৌশলীদের সাথে কথা বললে নাম না বলার শর্তে বলের ডিপিডি থেকে ফাইল ছাড়ানোর জন‍্য আমাদের ফিল্ডে চাপ দিতে হচ্ছে , ডিপিপিকে পিডি নিজেই নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না সেখানে আমরা অসহায় ।আমরাও এই সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি চাই।এতে সরকারের টাকা লাপাত্তা হচ্ছে কেননা টেস্ট এর জন্য যেই টাকা ধরা হয়েছে সেই টাকা বুয়েট/কুয়েট/চুয়েট যেই প্রতিষ্ঠান থেকে করা হউক সেটা নির্দিষ্ট একাউন্টে জমা হবে এবং সেটার জমা স্লিপ থাকবে। খোজ নিয়ে জানা যায় একটি মাত্র নামবিহীন Bearing Plate এর টেস্ট রিপোর্ট অরিজিনাল করিয়ে রঙ্গিন ফটোকপি করে সারা বাংলাদেশের প্রায় ১০০০ হাজার ব্রীজের প্রায় ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে SELKON কোম্পানির নামে আবু নাছের বাবর। বর্তমানে বাবর ডিপিডি হওয়াতে এ অধিদপ্তরের দুর্নীতির পরিমান অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে ধারনা করছে ভুক্তভোগীরা। বাবর ব্রীজ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্মরত থাকা অবস্থায় ধারনা করা হচ্ছে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অধিক মালিক বনে যান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ রাস্তায় সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিডি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ব্রীজের বিল ছাড়ার উৎকোচ এর পরিমান বেড়ে গেছে বলে শুনা যাচ্ছে তিনি ফাইল প্রতি টাকা কম হলে বলেন ১.৫ কোটি টাকার বিনিময়ে হয়েছি ডিপিডি টাকা তুলতে হবে না হয় টাকা বানের জ্বলে ভেসে যাবে। ওনার বিষয়ে খোজ নিয়ে আরো জানা যায় ডিপিডি বাবর এর গ্রামের বাড়ি ফেনীতে রয়েছে তার নিজ নামে ও আত্মীয় স্বজনের নামে বেনামে অঢেল সম্পদ, ঢাকাতে শান্তিনগর রয়েছে একাধিক ফ্লাট, ঢাকার পূর্বাচলে রয়েছে ১০ কাঠার ০২ টি প্লট, চট্টগ্রাম জালালাবাদ হাউজিং এ রয়েছে ০৬ টি ফ্লাট, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জে ব্লকে রয়েছে ১০ কাঠা প্লট, তাছাড়াও শহরে বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে রয়েছে একাধিক ফ্লাট এ ব্যাপারে আবু-নাছের বাবরকে মুঠোফোন কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। এ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা জনাব ফারুক ই আযম এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য মুঠোফোন একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি এবং ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।

Leave a Reply