এম এ এইচ শাহীন, সিলেট প্রতিনিধি:- দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে নানাবিধ সমস্যার মধ্যেই ৩নং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বররা। তারা জরাজীর্ণ শ্যাওলায় ভরা, ভাঙ্গাচোড়া, ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের ভিটা পানির লেভেলের চেয়েও নীচে থাকায় বন্যার পানি ওঠে অফিসে কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। আরও দেখা যায় অফিসে নেই কোন ভালো আলমারি,চেয়ার টেবিল ইত্যাদি। ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায় ছাঁদের প্লাস্টার ভেঙে প্রায়ই পরে রডগুলোও দেখা যাচ্ছে। নেই কোন ভালো স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন আর ওয়াশরুম,ভালো নেই সড়কের সংযোগ পথ। বলা বাহুল্য যে নানা সমস্যার সম্মুখীন ৩নং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি। একপ্রকার পরিত্যাক্ত উপরে ২য় তলায় পানি ময়লার কারণে সারা বছরই থালা দেয়া রয়েছে। এই ভবনে নানাবিধ সমস্যা ও ঝুঁকি নিয়ে ইউনিয়নে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষকে সেবা দিয়ে আসছেন। দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু একটি কক্ষে টাইলস লাগিয়ে কার্যক্রম ও জনগণের সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। বাদ বাকি কক্ষগুলোর অবস্থার বেহাল দশা,বৃষ্টির পানি ঢুকে দরজা জানালা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং চিটকারী ও লাগানো যায় না বলে জানান, ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ। যার ফলে চেয়ারম্যান মেম্বার ও স্হানীয় ইউনিয়নবাসী সেবা নিতে আসা জনগণ হতাশ। ৩নং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের এমন বেহাল দশা যা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না। স্হানীয় ইউনিয়নবাসী জনসাধারণের অভিযোগ ঠিকাদার ২০০১২ সালে নির্মাণাধীন
ভবনটিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই ভবনটি বৃষ্টির পানি লিক করে জরাজীর্ন হয়ে ব্যবহারের সম্পুর্ন অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে ছাদের পানিতে অফিসের কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।এমনকি প্লাস্টার খুলে মানুষের মাথায় পড়ছে। ভবনটি অচিরেই মেরামত কাজ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল(UDC)
সেন্টারের উদ্যোক্তা: নাদিরা বেগম (৩৪) জানান
বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে সরকারের দেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকার ওয়াইফাই মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দরজা জানালাগুলো ভাঙা থাকায় চিটকারী লাগানো যায় না। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রব জানান,নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আছি
আমরা ইতোমধ্যে এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।এব্যাপারে ৩নং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু বলেন দীর্ঘদিন ধরে ভবনটি নানাবিধ সমস্যায় ভবনটি ঝুঁকিপুর্ণ ফাটল দেখা দিয়েছে। এবং ব্যবহারের সম্পুর্ন অনুপযোগী না হলেও আমরা জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ না থাকার কারনে নানাবিধ সমস্যায় রয়েছি। তবে মেরামত কাজ জরুরী হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আসিফ খান রাবি’ ঢাকায় প্রশিক্ষণে
থাকার কারনে উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি আসার পরে একবার রং ও রিপিয়ারিং এর কাজ হয়েছিল প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।



