শিরোনাম
গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন জোট গঠন এর ঘোষণা ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ২শত কোটি টাকার ১৮৩ প্রকল্প অনুমোদনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পেশাদারিত্বের ঘাটতি ও চরম অদক্ষতা ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ যেন উজিরে খামাখা? ভেঙে পরেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি  ঠাকুরগাঁওয়ে বিএডিসি বীজ ডিলারদের সার ডিলার হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বুড়িচংয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা ঠাকুরগাঁওয়ে চার দফা দাবিতে নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত বুড়িচংয়ে নির্যাতনে কলেজ ছাত্র হত্যায় দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন রংপুরে মাকে হত্যা মামলায় পুত্রের মৃত্যুদন্ডের আদেশ বিরলে ১৭শ কৃষক বিনামূল্যে পেলো সার ও বীজ একটি ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: রংপুরে শিবির সভাপতি

মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে উধাও জামাতি শিক্ষক” ক্ষিপ্ত হয়ে ভাংচুর করলো মাদ্রাসা বিক্ষুব্ধ জনতা-তোলপাড়

Juyel Khandokar

বিশাল রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক:- ঠাকুরগাঁওয়ে মহিলা মাদ্রাসা পড়ুয়া ৯ বছরের এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় জামাত নেতা আবু তালেক পলাতক থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় ভাংচুর করেছে ভুক্তভোগীর স্বজনেরা।

ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২ নং আখানগর ইউনিয়নের ফেলানপুর হাজীপাড়া মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসায়।

জানা যায়, আখানগর ইউনিয়নের ফেলানপুর গ্রামের ঐ মাদ্রাসায় গত ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে ক্লাস বিরতির ফাঁকে কৌশলে প্রতিষ্ঠানের রান্না ঘরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ও মুখ চেপে নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তালেব ।

পরে বিষয়টি অত্র মহিলা মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী জানতে পারলে প্রধান শিক্ষক আবু তালেব ছাত্রীদের ডেকে বইয়ের উপরের হাত রেখে শপথ করায় কাউকে না বলার জন্য।

একপর্যায়ে মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি জানালে গত সোমবার রাতে বিষয়টি জানার জন্য শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মা মাদ্রাসায় যায় কিন্তু মাদ্রাসা গিয়ে প্রধান শিক্ষকে না পেয়ে ফিরে আসে এবং বিষয়টি এর মধ্যে চার পাশে ছড়িয়ে পরলে আজ মঙ্গলবার ভুক্তভোগীর স্বজনেরাসহ এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে সেই মাদ্রাসা ভাংচুর চালায়।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু তালেব সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুর মা চায়না বেগম বলেন, আমি মাদ্রাসায় আমার মেয়ে সু-শিক্ষিত করার জন্য দিছি শুধু তাই নয় যখন আমার মেয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করায় তখন হুজুর আবু তালেবের হাতে আমার মেয়েকে তুলে দিছি যে ও-ই মেয়ে শুধু আমার না হুজুরেরও আর সেই হুজুর এমন করলো এটা ভাবতে পারিনা। এমন ভন্ড হুজুরের ফাঁসি চাই এর সঠিক বিচার চাই।

এই বিষয়ে নির্যাতিত শিশুর বাবা মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা কোথায় বাস করি যে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে আমার মেয়ে দিছি একজন হাফেজিয়া করার জন্য আর সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকেই আমার মেয়েকে এমন করলো। আমি এ-র বিচার চাই। অভিযুক্ত হুজুর আবু তালেবের বিষয়ে আইনী কোন পদক্ষেপ নিছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন থানায় যাচ্ছি মামলা করার জন্য।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, গত পরশু দিন অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থীকে কাজ করার নামে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে আর ধর্ষণের কথা জানা জানি হলে সে অত্র মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন তালেব হুজুরের নামে ইতিপূর্বে আরো অনেক ঘটনা আছে যেমন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কথা বলে এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন অসহায় গরিব মানুষের কাজ থেকে জন প্রতি ১ লক্ষ ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিছে। যার বিষয়ে তার নামে থানায় অভিযোগ করা আছে। আর এর মধ্যে আবার ধর্ষণ আমরা এলাকা বাসি আইনের কাছে সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা থেকে অনেক শিশু সেখানে কোরআন পড়তে যায় আর সেই খানার শিক্ষক প্রধান আবু তালেব এমন জঘন্য কাজ করলো এই ভন্ড হুজুরের ফাঁসি চাই।

এই বিষয়ে মাদ্রাসার সহকারী সাবিনা বেগম বলেন, হুজুর আবু তালেব প্রায় শিশুদের ডেকে নিয়ে অফিসে হাত পা শরীর মেসার্স করে নিতো যেটা আমি একজন শিক্ষক হয়ে আমার ভালো লাগতো না। কিন্তু আবু তালেব হুজুর এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক তাই কিছু বলতে পারতাম নাম। তবে বিষয়টি আমি হুজুরে বউয়ের মাধ্যমে বুঝতে পারছিলাম আর সেটা আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারলাম শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। এটা সকল শিক্ষকদের জন্য লজ্জাজনক বিষয়। এমন শিক্ষকের সর্বচ্চ শাস্তি হওয়ার প্রযোজন। অভিযুক্ত আবু তালেবের মা খলেছাতুন নেছা ছেলের দোষ শিকার করে বলেন, তাঁর ছেলের চরিত্রে সমস্যা আছে। উল্লেখ্য আবু তালের স্থানীয় জামাতে প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এতদিন তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলেনি। জামাতের এই নেতাকে রক্ষার জন্য উপজেলা পর্যায়ের জামাত শিবিরের কৌশলে নানারকম অপতৎপরতা শুরু করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

Leave a Reply