ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের বরইয়া গ্রামে এক রাতে ১১টি গরু চুরির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দেবিদ্বারে এক আসামীসহ তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে দাগনভূঞা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- গোলাম মোস্তফা মোমেন (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল খালেক ডাঃ মাতা-দেলোয়ারা বেগম, সাং-সুবিল (বাসারিয়া নূরানীয়া হাফেজীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন),খালেক ডাক্তারের বাড়ি ৭নং ওয়ার্ড, সুবিল ইউপি, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা। মো. সিয়াম (১৮), পিতা-মো. আলাউদ্দিন, মাতা-মোসাম্মাৎ সুখিয়া বেগম, সাং-বালিনা (আসকর বাড়ীর সাথে), ৪নং ওয়ার্ড, সিদলাই ইউপি, থানা-ব্রাহ্মণপাড়া, জেলা-কুমিল্লা। মোহাম্মদ সোলায়মান ওরফে রুবেল (৩৬), পিতা-আবুল কাশেম, মাতা-আম্বিয়া বেগম, সাং-চর এলাহী (কাশেমের বাড়ী), চর এলাহী ইউনিয়ন, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, জেলা-নোয়াখালী। ঘটনাটি দাগনভূঞা থানায় মামলা নং-২০, তারিখ: ২২/০৯/২০২৫ ইং, ধারা ৩৮০/৪৫৭ দণ্ডবিধি অনুযায়ী নথিভুক্ত হয়েছে।
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য! গভীর অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই গরু চুরির সঙ্গে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ৪নং সুবিল ইউনিয়নের সুবিল গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন আওয়ামীলীগের দোসর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন—সুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী আনিছুর রহমান (৩৫), সুবিল ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম মেম্বার (৫৫), সুবিল ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ হানিফ মেম্বার (৪০)। স্থানীয়দের দাবি, তারা আওয়ামীলীগের সক্রিয় দোসর এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ার পর ইউপি সদস্য মো. সেলিম ও দপ্তরী আনিছুর রহমান পলাতক রয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি: মূল হোতাদের গ্রেফতার না করলে বিচার হবে না, বরইয়া গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলো চোরচক্রের বাহিনী মাত্র। প্রকৃত হোতারা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তাদের আড়াল করছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়। এলাকাবাসী দ্রুত এসব প্রভাবশালী অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছে।
অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। দাগনভূঞা থানার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আরও যারা পলাতক রয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। গরু চুরি শুধু সম্পত্তি লুট নয়, এটি গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের আঘাত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সমন্বিত পদক্ষেপেই এ ধরনের সংঘবদ্ধ চক্রকে রুখে দেওয়া সম্ভব, এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।



