শিরোনাম
চান্দিনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত”র অভিযানে নয় জুয়াড়ি গ্রেপ্তার  ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দুই অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস, ৮ লাখ টাকা জরিমানা বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্যখাতে পূর্ণাঙ্গ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে: ডা. রফিকুল ইসলাম নির্বাচনের মাঠে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় পুলিশ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন: পরিস্থিতি স্বাভাবিক চায় দুই দেশই ১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ভারতের সঙ্গে তিক্ততা চায় না সরকার: অর্থ উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের ভোট নেওয়ার প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি ও জামায়াত: নাহিদ দল ব্যবস্থা নিলেও আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করব: রুমিন ফারহানা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তিতুমীর কলেজ শাখার সহ-সভাপতি নকিব তালুকদার গ্রেপ্তার

বাংলাদেশে শুধু মাত্র মাদক বন্ধ করলেই ইন্ডিয়াতে ব্যাপক অর্থনৈতিক ধ্বস নামবে

Chif Editor

সিনিয়র রিপোর্টার, জুয়েল খন্দকার :- ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক ঢুকছে চোরাই পথে, বাংলাদেশ শুধু মাত্র মাদক বন্ধ করলেই ইন্ডিয়াতে ব্যাপক অর্থনৈতিক ধ্বস নামবে। এতে ভারত ব্যাপক আকারে অর্থনৈতিক পঙ্গুত্ব বরন করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল। এই মাদক ধ্বংশ করছে শিশু থেকে শুরু করে যুবক, কৃষক, ছাত্র সহ সকল পেশার শ্রমজীবী মানুষদের। মাদক সেবনের কারণে, মাদকের টাকা যোগান দিতে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি সহ নানান অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরছে যুবক সহ কিশোর ও কিশোরীরও। স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পরছে মাদকাশক্ত। যার লাগাম টানতে পারছেন না অভিভাবকরাও, নেশার টাকা যোগান দিতে না পারলে অভিভাবকেরাও হতে হচ্ছে সন্তানদের হাতে লাঞ্ছিত।

সম্প্রতি ইয়াবা সেবনে বাধা দেওয়ায় নিজ মেয়ে ঐশীর হাতে খুন হলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান। ঐশীর মত এমন ঘটনা আমাদের দেশে অহরহ ঘটছে। কিন্তু যুগে যুগে সরকার পরিবর্তন হলেও মাদকের বিষয়ে ঘুম ভাঙ্গছে না সরকারের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বেনাপুলের তিন ডিবিশনের তিন সৎ বিজিবি কমান্ডার জানান যে সীমান্ত এলাকায় শুধু মাত্র ভারত থেকে প্রতিদিন এক একটা পয়েন্টে কোটি কোটি টাকার মাদক ঢুকছে বাংলাদেশে অনায়াসে। এবং ভারতের সীমান্ত এলাকাতেই মাদক উৎপাদন কারখানা গুলি তৈরি করেছেন যাতে করে বাংলাদেশে সহজে মাদক সাপ্লাই দিতে পারেন। তার আরও জানান যেমন একটি ফেন্সিডিল তৈরিতে বাংলা টাকা ১০০ শো থেকে ২০০ শো টাকা খরচ হয়। বাংলা দেশে এসে সব”র বিক্রি করা হয় হাজার টাকার উপরে। তেমনি সকল মাদক দ্রব্যতে ব্যাপক অর্থ চলে যাচ্ছে ইন্ডিয়ার অর্থনৈতিক খাতে। এছাড়াও রয়েছে কসমেটিক, শাড়ি কাপড় সহ চিনি ইত্যাদি পণ্যতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে ইন্ডিয়া।

আরও জানা যায় বর্ডারে স্থাপন করা ক্যাম্প ও বর্ডারে থাকা বিজিবিরা চাইলেই মাদক মুক্ত করা সম্ভব মাত্র এক মাসে। এক মাস মাদক না ঢুকলে ভারতে হৈচৈ বেধে যবে, নামবে অর্থনৈতিক ধ্বস। বিজিবি চাইলেই মাদক মুক্ত করলে করতে পারেন কিন্তু বর্ডারে থাকা বিজিবিদের প্রতি মাসে মাসিক মসোয়ারা দিতে হয় ঊর্ধ্বতন কর্ম কর্তাদেরকে, নয়তো তাদেরকে গণ গণ বদলি করা হয় দুর্গম এলাকায় এলাকায়। সম্প্রতি আওয়ামীলীগ এর আমলে এ প্রতিবেদক (একজন হত্যাকারী হত্যা করে একজনকে আর মাদক হত্যা করে গোটা দেশকে) শিরোনামে সংবাদ প্রচারের পর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রালারেন্স ঘোষণা দিয়ে পুলিশকে দায়িত্ব দিতে চাইলে এতে নানান দ্বী-মত সৃষ্টি হলে ও প্রশাসনিক বিভাগে হৈচৈ বেধে গেলে সরকার অন্য ইসূ নিয়ে এই ইসূটি ধামাচাপা দিয়ে দেন।

বাংলাদেশ সেনা বাহিনী মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সক্রিয় ভূমিকায় থাকলেও সেনা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বিজিবি চাইলেই বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে মাদক ও অস্ত্র প্রবেশ বন্ধ করতে পারেন কিন্তু তারা করছেন না। তারা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে লাভবান হয়ে সব ছেড়ে দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন। আরও মন্তব্য করেন যে বিজিবির এরিয়া বর্ডারের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে সেনা বাহিনীর প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকার সেনা বাহিনী লাগাম টানতে পারছেন না।

গত ২৬ জুন ২০২৫ইং তারিখে সচিবালয়ে বেসরকারি মাদাকাশাক্ত, মাদক নিরাময় কেন্দ্র গুলিকে আর্থিক অনুধান দেওয়ার সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, শুধু মাত্র বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ভারত ফেনসিডিল তৈরি করে তারা নিজেরা খায় না। এছাড়াও মায়ানমার ইয়াবা তৈরি করে বাংলাদেশে পাচার করে। তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন করে তুলার জন্য আহবান করেন। মাদক দেশে ঢুকিয়ে, মানুষকে মাদক না খাওয়ার জন্য সচেতন করার প্রশ্ন আসে কেন? বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়য় কঠোর ভূমিকায় না গিয়ে মাদকাশাক্ত নিরাময় কেন্দ্র খোলা ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানানো কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

Leave a Reply