
প্রথম চুক্তি: Exercise COP South.(২০১০)
=> ২০১০ সাল থেকে ঢাকা সহ বাংলাদেশের সকল বিমান ঘাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসেফিক এয়ারফোর্স ও বাংলাদেশ বিমান বাহীনি Exercise COP South নামে প্রতিবছর মহড়া করে আসছে। এইটা মুলত Air Lift প্রশিক্ষণের জন্যে দুই দেশ যৌথ ভাবে আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিমান ঘাটিতে।
দ্বিতীয় চুক্তি:Response Exercise and Exchange Bangladesh.(২০১০)
=> ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক রিজনের সেনাবাহিনী যৌথ ভাবে বাংলাদেশে এই মহড়ার আয়োজন করে।
তৃতীয় চুক্তি: Exercise CARAT(২০১১)
=> ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনি সেনা,নৌ ও বিমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহীনির নৌ,সেনা, বিমান সদস্যরা আয়োজন করে আসছে Exercise CARAT নামে যৌথ মহড়া। বঙ্গপসাগরে এই মহড়ার আয়োজনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজ অংশ নেয়। প্রতিবছর এইজন্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক রিজনের যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশে আসে এই মহড়ায় অংশ নিতে সেই ২০১১ সাল থেকে।
চতুর্থ চুক্তি: Exercise Tiger Lightning(২০১৭)
=> ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর মধ্যে Exercise Tiger Lightning নামে প্রতিবছর মহড়া আয়োজন হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যান্টমেন্ট ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যা আর বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্যাড়া কমান্ডোরা এই প্রশিক্ষনে অংশ নেয় প্রতিবছর। এই প্রশিক্ষন মুলত সন্ত্রাস দমন ও জিম্মি উদ্ধার কাজ পরিচালনা বিষয়ে ট্রেনিং।
পঞ্চম চুক্তি: শান্তি দূত(২০১৮)
=> ২০১৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তি মিশনের ট্রেনিং এর উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ আয়োজন করা হচ্ছে ‘শান্তি দূত’ নামে মহড়া যা প্রতিবছর আয়োজন করা হয়।
ষষ্ঠ চুক্তি: Pacific Angel(২০১৯)
=> ২০১৯ লালমনিরহাটে প্যাসেফিক এঞ্জেল এর মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ছয় দিনের মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহীনির ১৩০ জন এবং আমেরিকার ৬০জন সেনা সদস্য অংশ নিয়েছিল।
সপ্তম চুক্তি: Exercise Tiger Shark 39(২০২২)
=> ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্পেশাল ফোর্স, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স এর মধ্যে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় Exercise Tiger Shark 39 নামের এই অনুশীলন প্রতিবছর বাংলাদেশে আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের সামরিক বাহীনির সেনা,নৌ ও বিমান বাহীনির জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ৬৮০ কোটি টাকা সরাসরি আর্থিক অনুদান পেয়েছে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সামরিক বাহীনির মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ছয়টি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে বিভিন্ন ধরনের যৌথ মহড়ার যার সব গুলোই বাংলাদেশের স্থলভাগ ও বঙ্গপসাগড়ে প্রতিবছর আয়োজন করা হবে। সরাসরি আর্থিক সহায়তা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সামরিক বাহীনি শান্তি মিশনে দক্ষতা অর্জনের জন্যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খরচ করেছে ৩৮০ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দুটি হ্যামিল্টন কাটার জাহাজ দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্যে। ১১০ কোটি টাকা মুল্যের ৫০টি মাল্টি রোল আর্মাড পারসোনেল ক্যারিয়ার ভেহিকেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই ২০২৪ সালের ৬ আগষ্ট থেকে সমানে প্রচারণা চালাচ্ছে সেন্টমার্টিন দিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার, বঙ্গোপসাগড় দিয়ে দিয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত সেই ধরনের কোন চুক্তি হয় নাই। পিটার হার্স নিয়ে এতো কথা, পিটার হার্স বর্তমান যে LNG কোম্পানিতে প্রধান হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশে। সেই কোম্পানির সাথে ১৫ বছরে দশ বিলিয়ন ডলারের LNG ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখে তৎকালীন আওয়ামিলীগ সরকারের পক্ষ থেকে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এখন সেই কোম্পানি যদি বাংলাদেশে তাদের প্রধান হিসেবে পিটার হার্সকে নিয়োগ দেয় তবে সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কি করার আছে?
গেলো গেলো, সব দিয়ে দিলো বলে আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ককে যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে তাতে বাংলাদেশের কি লাভ কেউ বলতে পারেন?
বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গারা থাকে খায়, তার সিংহভাগ অর্থ দেয় আমেরিকা অনুদান হিসেবে। আওয়ামিলীগ আমলেই তো প্রতিবছর শেখ হাসিনা সরকার অনুদান নিয়েছে।
আমার, আপনার সন্তানদের যে বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন গুলো দেন সাত বছর হবার আগে, সেই ভ্যাক্সিনের সিংহ ভাগ অর্থও আসে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান থেকে। করোনার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে থেকে তিন হাজার কোটি টাকার উপরে অনুদান নিয়েছে। করোনা ভ্যাক্সিনের ৪০ ভাগ ভ্যাক্সিন যুক্তরাষ্ট্র ফ্রি দিয়েছে বলেই আওয়ামিলীগ সরকার দেশের মানুষকে ভ্যাক্সিন দিতে পেরেছে। সারাদেশে মাত্র ১৭২টি ভ্যান্টিলেশন সুবিধা সহ বেড ছিল আইসিইউতে, যুক্তরাষ্ট্র সেই সময়ে ৪০০টি ভ্যান্টিলেশন বেড দান না করলে কি হত তা বুঝেন?
আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশ, ১৮ কোটির মানুষের দেশ আমেরিকা ও চীনের বিরুদ্ধে গিয়ে দশদিন টিকে থাকতে পারবে না। দুর্ভিক্ষে মরা লাগবে।
আবদু রব ভুট্টো
তবে ভবিষ্যতে আমেরিকা যদি বাংলাদেশে কোন সামরিক ঘাঁটি করতে চায়, অথবা এমন কিছু করতে চায় যা আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ, আর কোনভাবে ই করতে দেয়া উচিত হবে না।
প্রধান সম্পাদক : জুয়েল খন্দকার
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : এস এম রাশেদ হাসান
নির্বাহী সম্পাদক : গাজী ওয়ালিদ আশরাফ সামী
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : ১০/৩, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা-১০০০
হট-লাইন নাম্বার : ০১৯৮৮৬৬৩৭৮২, ০১৯৬৭৯৯৯৭৬৬.
Copyright © 2025 দেশপত্র. All rights reserved.