নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পশ্চিম লুদিয়ারা গ্রামের বায়তুল মামুর জামে মসজিদের প্রায় দেড় বছর যাবত ঈমামতি করছেন ঈমাম আবুল কালাম হাজারী কখনও তার চালচলনে ত্রুটি দেখা যায়নি বলে এলাকাবাসী জানান।
ফুয়াদ চৌধুরী নামক ভয়ংকর এক যুবক কুমিল্লা আইন কলেজের ছাত্র লুদিয়ারা এলাকার ত্রাস যাকে তাকে যখন তখন হুমকি ধমকি ও হামলাও করে থাকেন ফুয়াদ ও তার পরিবারের লোকেরা ফুয়াদ আইন কলেজে পড়েন বলেই যাকে তাকেই মামলার হুমকি ধমক দিয়ে কাবু করেন কিন্তু সে এখনো ছাত্র।
সাম্প্রতিক এই ভয়ংকর ফুয়াদ ঈমাম এর সাথে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা শুরু করে যদিও প্রচলিত ইসলাম ধর্মে ৪ মাজাহাব আছে কিন্তু ফুয়াদ চাচ্ছেন কারো কোন মাজাহাবে চলবেনা ফুয়াদের মনোনিত মাজহাব কায়েম করার জন্যে ঈমাম আবুল কালাম হাজারী”কে প্রায় বিরক্ত করতেন।
কিন্তু প্রচলিত বাংলাদেশে হানাফি মাজহাব আর ঈমাম আবুল কালাম হাজারী সে ও মসজিদ কমিটিসহ এলাকাবাসী সবাই হানাফি মাজাহাব এর অনুসারী এখানে ঈমাম আবুল কালাম হাজারী ফিতনা ছড়াতে চাচ্ছেন না বলে ঈমাম আবুল কালাম হাজারী ফুয়াদ চৌধুরী বার বার ঈমামকে বললেও তার কথায় রাজি না হওয়াতে মসজিদে একাধিকবার ঈমাম এর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় ফুয়াদ।
ফুয়াদ যে ঈমাম আবুল কালাম হাজারী উপরে ক্ষিপ্ত তা ঈমাম নিজেও জানতেন না! গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে ঈমাম আবুল কালাম হাজারী ছুটিতে ছিলেন তার নিজ বাড়ি নাঙ্গলকোট থানার রায়কোট এলাকায় কিন্তু তার একটি দোয়া ও মিলাদে দাওয়াত ছিলেন তার চাকুরিরত মসজিদের পাশে সেই সুবাধে ইমাম দাওয়াতে এসে দোয়া শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ফুয়াদের সামনে পরেন।
ফুয়াদ আগে থেকে ঈমামকে টার্গেট করছিলেন যা কিনা ঈমাম জানতেন না ঈমামকে একা নির্জন জায়গায় পেয়ে প্রথমে ঈমাম এর চোখের চশমাটা টান দিয়ে নিয়ে যায় পরে ঈমামের মাথায় আগাত করলে ঈমামের মাথা ফেটে যায় এক পর্যায়ে ফুয়াদ নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধকর করার চেষ্টা করলে ঈমাম ফুয়াদকে কামড় দিলে ফুয়াদ ছেড়ে দেয়।
ঈমাম এর মাথায় আগাতের পর থেকে ঈমাম মানুষিক ভাবে অনেকটাই বিপর্যয় হয়েছেন যা কিনা তার চিকিৎসা কয়েক লক্ষ টাকার খরচ এর ব্যাপার।
উক্ত বিষয়ে সংবাদ পেয়ে আমাদের প্রতিনিধীরা ছুটে যায় হাসপাতালে ঈমামকে দেখতে তখন ঈমামের বক্তব্য শুনে মানুষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আছেন কিছুটা অনুমান করতে পেরে তার বক্তব্যর উপরে না থেকে ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তদন্ত করতে আমাদের ৩ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।
ঈমাম এর মানুষিক অবস্থা ঠিক নেই বলে, ফুয়াদ ছাড়াও আরও কয়েক জনের নাম উল্লেখ্য করেন ঈমাম কিন্তু একজন হামলা কারীর ঠিকানা নিয়ে ভূল হওয়াতে তদন্ত করতে আমাদের প্রতিবেদকদের একটু বেশি সময় লেগে যায়। কেননা হামলা হয়েছে চৌদ্দগ্রাম থানার লুদিয়ারা গ্রামে কিন্তু লাঙ্গলকোট থানার রায়কোট গ্রামের আসামী কি ভাবে হয় উক্ত ঘটনার তদন্ত নিয়ে একটু ধোয়াশার মধ্যে পরে যায় আমাদের টিম।
এক পর্যায়ে ফুয়াদ চৌধুরী সহ সকল আসামীদের সাথে আমাদের প্রতিবেদকেরা কথা বলতে চাইলে পালিয়ে যায় সবাই। উক্ত ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ঈমাম আবুল কালাম হাজারী কুমিল্লা ডিসি মহোদয় বরাবর। কুমিল্লার ডিসি ইউএনওকে দায়িত্ব্য দিলে উনি স্থানীয় কিছু মানুষকে দায়িত্ব প্রধান করেন ব্যস্ততার কারনে বলে জানা যায়।
উক্ত বিষয় একটি বিচার সালিসি বৈঠক চলছে সংবাদ পেয়ে আমাদের টিম এর দু”জন ছুটে যায় কিন্তু যাওয়ার আগেই সালিসি বৈঠক শেষ হয়ে যায়। সালিসি বৈঠক এর বিষয় জানতে ফুয়াদ চৌধুরী বাড়িতে গেলে ফুয়াদের পরিবারের তোপের মুখে পড়তে হয়ছেন।
“দৈনিক সমাজ কণ্ঠ” পত্রিকার প্রতিবেদকদের বাড়িতে প্রবেশ করতেই ফুয়াদ এর বোন সাইমা প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে বলেন এই ঈমামকে আমরা রাখব না তাকে প্রাণে মেরে ফেলব এই জন্যেইতো আমরা তাকে মসজিদে চাকুরিতে বহাল রেখেছি আগে ঝামেলাটা শেষ করি জরিমানা দিয়ে পরে মসজিদে ঈমাম আসবেনা তখনি ঈমামকে বাঁচায় কে দেখব।
তখনি আমাদের প্রতিনিধী মোবাইল ফোন বাহির করলেই মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ফুয়াদ এসে ফোন করে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আসেন তখন ফুয়াদের মা-বাবা” সহ মোট ৭ জন মিলে পথ আটকে রাখেন যেতে দেওয়া হবেনা, তখন ফুয়াদের মা কেহ একজনকে ফোন করে মুঠো ফোনটি ধরিয়ে দেন আমাদের প্রতিবেদককে কে পাঠাইছে কেন আসছস।
উক্ত ঘটনার কোন রকম সংবাদ প্রকাশ হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি প্রধান করেন ও সংবাদ প্রকাশ না করার অঙ্গীকারবদ্ধ করে যেতে দেন ফুয়াদ ও তার পরিবার ফুয়াদের বোন সাইমা চরম মাপের দানব সরূপ আচরণ! ফুয়াদ সহ তার পরিবার এখন গোটা এলাকা জুড়ে আতঙ্ক! ঈমামের উপরে হামলার ঘটনাটি একটি চক্র ধামাচাপা দিয়ে ফুয়াদকে বাঁচাতে মরিয়া উঠেছেন অর্থের বিনিময়ে –
সিরিজ রিপোর্ট-০২:
সাম্প্রতিক ঈমাম এর উপরে একটি হামলার ভিডিও “দৈনিক সমাজ কণ্ঠ” পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত হয়।
বিস্তারিত সিরিজ রিপোর্ট ০৩ আসবে।