ঠাকুরগাঁও থেকে আমাদের সিনিয়র রিপোর্টার,বিশাল রহমানের বিশেষ প্রতিবেদন : আজ ১৪ অক্টোবর দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির থানা ও পৌর নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিতির মাধ্যমে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর নিজ আসনের নির্বাচনী জার্নি শুরু করছেন বলে আশা করা যাচ্ছে। শুখ,সেনুয়া,টাংগনের মিলিত মোহনার জনপদ, বাংলাদেশের শষ্য ভান্ডার হিসেবে স্বীকৃত এই জেলা শহরে জন্মেছিলেন এই সময়ের পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক হিসেবে দেশ বিদেশে সমাদৃত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এলাকাবাসীর নিকট তিনি তাদের বয়সভেদে আদরের,স্নেহের এবং শ্রদ্ধার মানুষ, আত্মার আপনজন মির্জা আলমগীর। দলীয় সূত্রে জানা গেছে আজ থেকে নিজ জেলায় তিনি তিনদিনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচীতে অংশ নিবেন। তাঁর আজ থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে নিজ এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বেশ কয়েকটি মত বিনিময় সভা, দলের একাধিক থানা ও পৌর কমিটির সভায় উপস্থিতি থেকে দিক নির্দেশনা প্রদান, আলেম,ওলামা, ইমাম, মোয়াজ্জেম ও খতিবগণের সাথে মত বিনিময় সভা,মহিলা দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময় সভা,একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি। তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘিরে জেলা,সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও এর বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বর্তমানে ব্যস্ততার অন্ত নেই। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ এ প্রতিনিধিকে জানান মহা সচিবের নির্বাচন এলাকা হিসেবে সদর উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের উঠান বৈঠক ইতিমধ্যেই শেষ করা সম্ভব হয়েছে। একই দাবি করে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন দেশপত্রকে বলেন সদর উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনসমুহের সভা করে আমরা আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি।সদর উপজেলায় অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান এখন অনেক মজবুত। এদিকে পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তারেক আদনান বিগত একসপ্তাহ ধরে মহাসচিবের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি ও অংগ সংগঠনসমুহের বিভিন্ন বর্ধিত সভা,উঠান বৈঠকে উপস্থিত থেকে সংগঠনের তৃনমূলের কর্মীদের মধ্যে নির্বাচনী দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত ঠাকুরগাঁও -১ এর নির্বাচনী এলাকায় এবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বেশ কয়েকটি মত বিনিময় সভার মাধ্যমে এবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কমাতে কাজ শুরু করেছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে একদলীয় শাসনের বিভিন্ন প্রতিকুলতা ও প্রতিবন্ধকতার অবসানের নানা শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে বিএনপির হৃদ্যতা বৃদ্ধিতে এবার তিনি তাঁর এলাকার সর্বস্তরের শিক্ষকগণ তথা বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষকদের সাথেও মত বিনিময় সভায় মিলিত হবেন। মাঠ পর্যায়ের সাধারণ মানুষের ভোট টানতে ঠাকুরগাঁও -১ এ বিএনপির এই নতুন কৌশলের ইতিবাচক প্রভাব দলকে বিজয় এনে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে দলের নেতাকর্মীদের বিশ্বাস। এবারের নির্বাচনে বিএনপি মহাসচিবের মুল প্রতিদ্বন্দ্বী জামাতের প্রার্থী সাবেক শিবির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। প্রতিপক্ষকে মোকাবেলায় বিএনপির মাঠের কর্মীদের মধ্যে এবারের মহা সচিবের সফর নিয়ে ব্যাপক প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করবে বলে স্থানীয়দের অভিমত। মহা সচিবের সফর নিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী দেশপত্রকে বলেন, এবারের মহা সচিবের কর্মসূচির মাধ্যমে জেলা বিএনপি নির্বাচনী যাত্রার শুভ সুচনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত কৃষি নির্ভর ঠাকুরগাঁও জেলার উন্নয়নের স্বার্থে সাধারণ মানুষ এবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে রায় দিবে।
মহা সচিবের সফর নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু বলেন, মহা সচিবের এবারের সফরে এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সাংগঠনিকভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এবার ব্যাপক কাজ করেছি।তিনি আগামী নির্বাচনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভোটের একটা বিরাট অংশের ভোট বিএনপির পক্ষে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য মোঃ জাফরুল্লাহ বিএনপি মহাসচিবের সফরের মাধ্যমে এলাকায় নির্বাচনী কর্মসূচির শুভ সুচনা আখ্যা দিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ে ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন বলেন, আজ থেকে ঠাকুরগাঁও -১ এ নির্বাচনী কর্মকান্ড শুরু হলো।তিনি আরও বলেন,সদর উপজেলা বিএনপি ও অংগ সংগঠনসমুহের নেতাকর্মীরা মহা সচিবের এই সফরের মাধ্যমে ঝাপিয়ে পরবে নির্বাচনের ময়দানে। জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন মহা সচিবের এবারের সফর নিয়ে এ প্রতিনিধিকে বলেন, বিএনপি জনগণের দল হিসেবে সবসময়ই জনমুখী কর্মসূচি পালন করে।মহা সচিবের নিজের নির্বাচলী এলাকা হিসেবে তিনি আজ থেকে টানা তিনদিন এলাকায় বিভিন্ন দলীয় সভা ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। ইতিমধ্যেই জেলা বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনগুলোর কমিটিসমুহ পুনর্গঠন করে দলকে গতিশীল করতে নানা ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে মির্জা ফখরুলের এবারের সফর ঘিরে স্থানীয় জনসাধারণের মনে নির্বাচনী আমেজের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।
কি ভাবছেন স্থানীয় ভোটারগণ এবং তাদের প্রত্যাশা : ঠাকুরগাঁওয়ের ভোটারদের ভাবনা ও মির্জা ফখরুলের সফর নিয়ে গত ক’দিন ধরে এই প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও -১ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলেছেন।ঠাকুরগাঁও শহরের বিসিক মোড় এলাকায় কথা হয় ত্রিশ বছর বয়সী অটো চালক মুহিদুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন ভোটার হওয়ার পর এযাবৎ একবারও ভোট কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিতে ভোটটা দিতে পারিনি। প্রতিবারই আমার ভোটটা সরকারি দলের লোকজন দিয়ে দিয়েছে। এবার আশা আছে নিজের ভোটটা নিজে দেওয়ার। তিনি বলেন গ্রাম থেকে শহরে এসে অটো চালায় কিন্তু রাস্তাঘাটের করুন অবস্থার জন্য এ শহরে অটো চালিয়ে শান্তি নেই। এবার মির্জা ফখরুলকে ভোট দিবো রাস্তাঘাটের আশায়। মথুরাপুর পাবলিক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হয় ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে। ভোট নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করার সাথে সাথে তিনি বলেন, ভোটটা এবার ধানের শীষের পক্ষেই দিবো।তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চাই নির্বাচিত হওয়ায় পর মির্জা ফখরুলের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি? উত্তরে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই আমার তবে ঠাকুরগাঁওয়ের একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও সুগার মিল আধুনিকায়ন করে তা সচল করা,ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন,ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন,বিমানবন্দর চালু করাসহ ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি ভিত্তিক একটা শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার বিষয়ে তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নিবেন।
ভেলাজান বাজারে কথা হয় স্থানীয় সংবাদকর্মীর এম,এ মমিনের সাথে। ভোট নিয়ে তার প্রতিক্রিয়াও একরকম।তবে তাঁর দাবি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচিত হয়ে দলের দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চুনিহারী বাজারে কথা হয় সত্তর বছর বয়সী মুসলেমউদ্দীনের সাথে। আগামী নির্বাচনে আপনি কোন মার্কায় ভোট দিবেন- জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন.. ২০১৪ এর পাঁচ জানুয়ারীর নির্বাচনে এই এলাকায় প্রিসাইডিং অফিসার হত্যাকে কেন্দ্র করে তাদের পুরো গ্রামটিকে মাসের পর মাস শ্মশানে পরিনত করে তৎকালীন আওয়ামী লীগের পুলিশ বাহিনী। বছরের পর বছর বহু মানুষ এলাকায় থাকতে পারেনি।কাজেই অন্তত এবারের নির্বাচনে আমরা মির্জা ফখরুলকেই বেছে নিবো। নির্বাচিত এমপির কাছে তাঁর চাওয়া কি জানতে চাইলে তিনি বলেন.. ন্যায় বিচার ও মানুষের কাজের ব্যবস্থা করা। ভাউলারহাট বাজারে কথা হয় তরুণ মরিচ চাষী রমজান আলীর সাথে। ভোটের প্রশ্নে তিনি সরাসরি বলেন, এবারের নির্বাচনে ধানের শীষের বিকল্প নেই। বাগশিরি গ্রামের দিনমজুর বুধুরাম চন্দ্র রায়কে ভোটের কথা জিজ্ঞেস করতেই তাঁর সরাসরি উত্তর মির্জা ফখরুল আর ধানের শীষ।মির্জা ফখরুল নির্বাচিত হলে তাঁর কাছে আপনার চাওয়া কি? এ প্রশ্নের উত্তরে সে জানায় এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং রাস্তাঘাটের উন্নতির কথা।
শীবগন্জ বাজারের লোড আনলোড শ্রমিক মকবুল হোসেন ভোটের প্রশ্নে ধানের শীষের কথা বলেন। তাঁর কাছে আপনার চাওয়া কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও – পীরগন্জ সড়কটিকে আরও বড় করার দাবি তাঁর। মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দেউনিয়ার মোড়ে কথা হয় কিষাণী বিমলা রাণীর সাথে। ভোটের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, ভোটটা এইবার হামরা ধানের শীষ মার্কাতেই দিমো। নারগুন হাইস্কুল মোড়ে কথা হয় সবজি চাষি সুমনের সাথে। ভোটের প্রশ্নে সেও ধানের শীষের কথা বলে।তিনি প্রত্যাশার প্রশ্নে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে সবজি সংরক্ষণের জন্য বিশেষায়িত হিমাগার ও ঠাকুরগাঁওয়ে একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্বপ্নের কথা বলেন। বেগুনবাড়ীর দানার হাট বাজারে কথা হয় ষাটোর্ধ বৃদ্ধ কৃষক নজরুল ইসলামের সাথে। ভোটের প্রশ্নে তিনি বলেন, বিগত দিনে বেগুনবাড়ীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগের বনি আমিন চেয়ারম্যান।
তাঁর অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্ত তিনি নিজে,আগামী নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকলে তিনি মির্জা ফখরুলকে ভোট দেওয়ার কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বিজয়ী হলে তাঁর কাছে আপনার চাওয়া কি? এ প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সহজ সরল উত্তর, বনি আমিন চেয়ারম্যানের বিচার।উল্লেখ্য যে বিগত ১৬ বছরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বনি আমিন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল।তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল ভিন্নমতাবলম্বী মানুষ।১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে বেগুনবাড়ি এলাকায় বনি আমিনের নেতৃত্বে মির্জা ফখরুলের গাড়ী বহরে নৃশংস হামলা চালানো হয়েছিল। পাঁচ আগষ্টের পর বনি আমিন গা ঢাকা দিলেও এলাকার মানুষের ক্ষোভ কমেনি তাঁর উপর। খোঁচাবাড়ী বাজারে ভোট নিয়ে প্রশ্ন করতেই মুদি দোকানি বাবুল জানান, আগামী নির্বাচনে তিনিও বিএনপিকে ভোট দিবেন।ভোটের পর প্রার্থীর কাছে তাঁর প্রত্যাশা হলো ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করার। ঠাকুরগাঁও শহরের জজকোর্টের সামনে কথা হয় নৈশ প্রহরী ওসমান মুন্সীর সাথে। ভোটের প্রশ্নে সেও ধানের শীষের কথা বলে।
ই প্রার্থীর কাছে চাওয়ার প্রশ্নে সেও জেলার চিকিৎসা, রাস্তাঘাট ও বেকারদের কাজের ব্যবস্থা তথা কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি জানান। ঠাকুরগাঁও শহরের সদর হাসপাতাল গেটে কথা হয় চিকিৎসা নিতে আসা রবিউলের সাথে। তাঁকে ভোটের প্রশ্ন করা হলে তিনিও অবলীলায় মির্জা ফখরুল আর ধানের শীষের কথা বলেন। ভূল্লী এলাকায় কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক তরুণ ভোটারের সাথে। এই তরুণ ভোটারও মির্জা ফখরুলের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, এলাকায় বেকারত্ব দূর করতে মির্জা ফখরুলের বিকল্প নেই। সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের বৈরাগী হাটে কথা হয় দিনমজুর আব্দুল করিমের সঙ্গে। ভোটের প্রশ্নে তিনি সরাসরি বলেন, ধানের শীষের কথা। মির্জা ফখরুলের কাছে তাঁর প্রত্যাশা কি জানতে চাইলে তিনি তাঁর নিজের এলাকার সড়কটি পাকা করার দাবির সাথে সাথে যুবকদের মধ্যে মাদক ও অনলাইন জুয়া বন্ধের দাবি জানান। পাটিয়াডাংগি বাজারে কথা হয় স্থানীয় হোটেল শ্রমিক মাজেদের সাথে।
ভোটের প্রশ্নে তিনিও মির্জা ফখরুলের কথা বলেন এবং এলাকার মাদক ও জুয়া বন্ধের দাবি জানান। পশ্চিম রুহিয়া ইউনিয়নের পলাশ বাংলা বাজারে কথা হয় ভ্যানচালক আব্দুল আলির সাথে। তিনি ভোটের প্রশ্নে বলেন, এবার যদি ভোট হয় তবে তিনি মির্জা ফখরুল স্যারকে ভোট দিবেন। কালিবাড়ী হাটে কথা হয় সর্দার পাড়া এলাকার নজিবুর রহমান নামক এক বর্গাচাষির সাথে। তিনিও ধানের শীষের পক্ষে থাকার কথা বলে, বিএনপি জিতলে এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি তুলেন।আখানগরের ভেলাহাট বাজারে কথা হয় উত্তর ঝাড়গাও গ্রামের কৃষক মাহফুজুল ইসলাম নবাবের সাথে। ভোটের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি ধানের শীষের সাথে থাকার কথা বলেন। ভোট পরবর্তী তাঁর চাওয়া কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি ও বেকারত্ব দূর করার দাবি তাঁর।
পুরাতন ঠাকুরগাঁও বাজারে কথা হয় ইউপি সদস্য বাবুলের সাথে। তিনিও ভোটের প্রশ্নে মির্জা ফখরুলের কথা বলেন। এবং প্রত্যাশার প্রশ্নে ইউনিয়ন পরিষদের এই সদস্য ঠাকুরগাঁও মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বিমান বন্দর, কৃষি ভিত্তিক ইপিজেড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানান।উল্লেখ্য দীর্ঘদিন অবৈধ উপায়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার কারণে মানুষ তাদের ভোট দিতে না পারার পর এবারে ভোট দিতে পারবে এই প্রত্যাশায় জনগণের দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে ভোটের বাক্সে।আর এই ভোটে এই বাড়তি সুবিধাটা বিএনপির দিকেই ঝুঁকবে।এদেশে ভোটের ফলাফল নির্ধারণে অরাজনৈতিক ভাসমান ভোটাররা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এবারের নির্বাচনে এই আসনে এই ভাসমান ভোটারদের একটা বিরাট অংশের ভোট ধানের শীষের দিকে ঝুঁকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।