শিরোনাম
প্রয়াত পিতাকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন স্ট্যাটাস রাণীশংকৈলে কৃষি অফিসের কাজে ব্যাবহৃত ১৯ টি মেশিন ও সোলার পাম্প দিনমজুরের বাড়িতে ফটিকছড়ি আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সমর্থনে প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বরিশাল-২ এ আগুন ঝরালেন নিক্সন! গণতন্ত্রের মঞ্চে জনতার ঢেউ, ফ্যাসিস্টদের টান টান টেনশন ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী রংগ – ঢাকার মাস্তান দাবী করা প্রার্থীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল নিজের মতাদর্শের সরকার থাকলেও চোখে চোখ রেখে কথা বলতে ও লিখতে পারলেই সাংবাদিকদের দুর্ভোগ ও হতাশার মুক্তি মিলবে : এম আব্দুল্লাহ যারা ব্যক্তি স্বার্থে ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আঁতাত করে তারা দলের শত্রু – শুভেচ্ছা সমাবেশে মনিরুল হক চৌধুরী সিরাজদিখানে পরকীয়ার জেরে কি আত্মহত্যা করলো শিউলি রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন আরপিইজে’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ  কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী ড. ওসমান ফারুকের সাথে করিমগঞ্জ থানা কৃষকদল নেতা জিয়ার সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রয়াত পিতাকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন স্ট্যাটাস

Juyel Khandokar

সিনিয়র রিপোর্টার বিশাল রহমান :- নিজের মরহুম পিতা মির্জা রুহুল আমিনকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর ভ্যারিভাইড পেজে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর পিতা এবং তার পরিবারের অবস্থা ব্যাখ্যা করেন।মির্জা ফখরুলের পিতা মরহুম মির্জা রুহুল আমিন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান,ঠাকুরগাঁও -২ এর সাবেক সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর পিতাকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আজ তাঁর ভ্যারিফাইড পেজে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই স্ট্যাটাসটা দেওয়ার পর তাঁর অবস্থানের স্বপক্ষে কমেন্টস এ বিভিন্নজন মন্তব্য করছেন। তাঁর প্রদত্ত স্ট্যাটাসটি হলো

…”আমি গত দুদিন ধরে ঠাকুরগাঁও এ আছি! কিছু কথা বলা খুব জরুরি আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ, তরুণ প্রজন্মের জন্য ! এসব কথা বলার কখনো প্রয়োজন মনে করি নি! জীবনের এই প্রান্তে দাড়িয়ে যখন দেখি সমাজে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে মিথ্যার চাষ করছে, তখন বলা আরও জরুরী!

আমার আব্বা মরহুম মির্জা রুহুল আমিন ১৯৭১ এ মার্চ এর ২৭ তারিখে আমার নানাবাড়ি যান আমার দুই ছোট ভাই আর দুই বোন এবং মাকে নিয়ে। তারপর এপ্রিল এ চলে যান ভারতের ইসলামপুরে! রিফিউজি ক্যাম্প এ ছিলেন যুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময়! ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও স্বাধীন হয়! আমার বাবা ঠাকুরগাঁও ফিরে আসেন তখনই! যখন ফিরে আসেন, দেখেন সব লুট হয়ে গেছে ! আমার মরহুম মা তাঁর গয়না বিক্রি করেন! আমি যোগ দেই অর্থনীতি শিক্ষকতায় ! প্রথম বেতন তুলে দেই আম্মার হাতে !
আল্লাহর রহমতে জীবন চলে যায় ! ১৯৭১ এর পরে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এভাবেই ধ্বংসস্তূপ থেকে তৈরি করেছে জীবন!

গত ৫৪ বছরে আমার বাবার নামে কোথাও কোনও মামলা হয় নি! ঠাকুরগাঁও জেলার যা কিছু আধুনিক এর শুরু আমার বাবার হাতে! এই জেলার প্রতিটি সৎ মানুষ জানে আমার বাবার কথা!আমার বাবা মারা যাবার পরে তার স্মৃতি রক্ষার জন্য নিয়ে যে ফাউন্ডেশন হয়, তার নেতৃত্বে ছিলেন ঠাকুরগাঁও এর সকল নামকরা রাজনীতিবিদ! ১৯৯৭ এ তার মৃত্যুতে সরকারি শোক প্রকাশ করা হয়!

আমার বাবা সম্বন্ধে মিথ্যাচার শুরু হয় গত আওয়ামী রেজিমএ এবং দুঃখজনক ভাবে, গত এক বছর ধরে একটি গোষ্ঠী যারা নিজেদের জুলাই এর আন্দোলনের অংশীদার মনে করে, তারাও এই মিথ্যাচারে অংশ নিচ্ছে! মিথ্যা, গুজব ও অপবাদ সমাজ ধ্বংস করে।

আমি আমার সারাজীবন এ দেশ আর জাতির জন্য দিয়েছি! গত বছর জুলাই এ আমাদের ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশকে আশা দেখিয়েছে! আমি আশা করব নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশে মিথ্যার চাষ আমাদের ছেলে মেয়েরা করবে না! এরা সত্যের পথে থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মেধা, বুদ্ধিমত্তা, সততা আর পলিসি দিয়ে! শঠতা আর মিথ্যা দিয়ে পপুলিজম কেনা যায়, কিন্তু দেশ গড়া যায় না! আসুন আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা, দেশপ্রেম আর নতুন প্রজন্মের সাহস আর দেশপ্রেম দিয়ে তৈরি করি একটি মর্যাদাপূর্ণ সৎ মানবিক বাংলাদেশ!

“হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ।(আল-হুজুরাত)”

Leave a Reply