
অনলাইন ডেস্ক :- আগামী ফেব্রুয়ারির সংসদীয় নির্বাচনের পর নিজের মেয়াদের মধ্যেই পদত্যাগ করতে চান বলে বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আচরণের কারণে অপমানিত বোধ করছেন বলেও তিনি জানান।
রাষ্ট্রপতি জানান, ‘আমি পদত্যাগ করতে আগ্রহী। আমি বের হয়ে যেতে চাই। নির্বাচন পর্যন্ত আমি আমার দায়িত্ব পালন করব, কারণ এটি সংবিধানগতভাবে ধার্য রাষ্ট্রপতির পদ।’
সাহাবুদ্দিন বলেন, ড. ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সঙ্গে দেখা করেননি, প্রেস বিভাগটি তাদের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে তার প্রতিকৃতি বিশ্বের বিভিন্ন বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের ছবি সকল কনসুলেট, দূতাবাস ও হাইকমিশনে থাকত, যা এক রাতেই হঠাৎ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এটি জনগণের কাছে একটি ভুল বার্তা যায় যে, রাষ্ট্রপতিকে হয়তো সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেছি।’
রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে এই বিষয়ে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, যদিও শুরুতে কিছু ছাত্র প্রতিবাদকারীরা তার পদত্যাগ দাবি করেছিল, তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কোনো রাজনৈতিক দল তাকে পদত্যাগের জন্য অনুরোধ করেনি।
মত জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিএনপি) এবং কঠোরপন্থী জামায়াত-ই-ইসলামী আগামী সরকারের প্রধান প্রার্থী হতে পারে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা ক্ষমতাসীন জোটের অংশ ছিল।
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে, সাহাবুদ্দিন কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে আসার পর আমি স্বতন্ত্র, কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত নই।’
৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল) মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তবে আওয়ামী লীগকে ফেব্রুয়ারি ১২-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।


