
স্টাফ রিপোর্টার, সিরিজ রিপোর্ট ০৫ :- কুমিল্লা জাতীয় অন্ধকল্যান সমিতি ও চক্ষু হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, জুলাই বিপ্লবে কুমিল্লার সাবেক এমপি হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দীন বাহারের নির্দেশে ছত্রজনতার উপর হামলা, বিগত ১০ বছর যাবত অনুমোদি বিহীন কমিটির ১৭ কোটি ২২লাখ ৯৫ হাজার টাকা অর্থলুটের বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহন না করাতে সরকারী পাঁচ কর্মকর্তাকে (ডিমান্ড অফ জাস্টিস – আইনি) নোটিশ প্রেরন করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট এর বিজ্ঞ আইনজীবী আব্দুল মোতালেব গত ০৯/১২/২০২৫ইং তারিখ। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, উপ-পরিচালক (কার্যক্রম), কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, সমাজসেবা কুমিল্লার উপপরিচালক, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারকে বিবাদী করে এ নোটিশ প্রেরণ করেন।
তহবিলের অপব্যবহার, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, ২০১৬ সালের পরবর্তী সময়ে কোনো অনুমোদিত কমিটি না থাকা এবং ১৭ কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার দূর্রনীতির বিষয়ে অকাট্য দলিল প্রমান সহ গত ২৩ মে ২০২৫ইং তারিখে সমাজ সেবা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রকার প্রতিকার পাওয়া যায় নি এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের বিশিষ্ট কমিটি ২৩.০৯.২০২৫ইং তারিখে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মর্মে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত নোটিশে আরও বলা হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে অনির্বাচিত কমিটি কি ভাবে হাসপাতাল পরিচলানা করছেন। কেন নির্বাচন দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়নি? গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে অবৈধ কমিটি কি ভাবে পরিচালনা করছেন? দুর্নীতি, লুটপাট, জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার উপরে হামলার সাথে জড়িত থাকা হাসপাতালের ডাক্তার ও কমিটির সদস্যরা, অবৈধ কমিটি দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনাসহ নানান দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে কুমিল্লা জেলা সমাজসেবা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলিতে অভিযোগ দায়ের করা হলেও অভিযোগটি আমলে না নিয়ে উল্টো বাদীকে নানান ওজুহাতে হয়রানী করা হচ্ছে। সমাজসেবায় করা অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি তা জানতে চেয়ে ০৭ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য আইনি নোটিশটি দেওয়া হয়েছে। এ সংবাদ প্রকাশ করা পর্যন্ত কোন জবাব পাওয়া যায়নি।


