অনলাইন ডেস্ক :- ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও তরুণ বিপ্লবী নেতা শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতের খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত ১২ ডিসেম্বর বিজয়নগরে আততায়ীর গুলিতে আহত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু যেন পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামিক স্কলার ও সাধারণ মানুষ—সবার মধ্যেই নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিচে তুলে ধরা হলো—
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ হাদির মৃত্যুকে ঈর্ষণীয় আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, বিপ্লবী ওসমান হাদিকে মহান আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করুন। পরিণতি জেনেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীনতার এরচেয়ে উত্তম উদাহরণ নিকট অতীতে বিরল। মৃত্যুভয় জয় করে শাহাদাতের এমন আকাঙ্ক্ষা লালন করতে কেবল আদর্শ মুসলিম তরুণরাই পারে।
জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী হাদিকে পূর্ববর্তী শহীদদের সঙ্গে তুলনা করে লিখেছেন, আবরার ফাহাদ-আবু সাঈদের কাতারে যুক্ত হলেন—ওসমান হাদি। আল্লাহ ওসমান হাদির আত্মত্যাগকে কবুল করুন, শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিন।
শায়খ আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, হে আল্লাহ, আমার ভাই ওসমান হাদির এই চেতনা, ইসলামপ্রিয়তা ও দেশপ্রেমের আগুন যুগযুগান্তর ধরে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হয়ে বাংলার প্রতিটি ঘরে প্রবাহিত করে দিন।
হাদির মৃত্যুর মাহাত্ম্য তুলে ধরে শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক সংক্ষিপ্ত পোস্টে লিখেছেন, জুমার দিন গুলিবিদ্ধ। জুমার দিন মৃত্যু। আল্লাহ তাঁর বান্দাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন!
হাদির অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রফেসর মোখতার আহমদ, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী এবং রেজাউল করীম আবরারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম সমাজ ও বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা। প্রত্যেকের কন্ঠেই ধ্বনিত হয়েছে হাদির সাহসিকতা ও ত্যাগের মহিমা। ফেসবুক ও এক্স (টুইটার) সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তরুণরা হাদির ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
প্রধান সম্পাদক : জুয়েল খন্দকার
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : এস এম রাশেদ হাসান
নির্বাহী সম্পাদক : গাজী ওয়ালিদ আশরাফ সামী
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : ১০/৩, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা-১০০০
হট-লাইন নাম্বার : ০১৯৮৮৬৬৩৭৮২, ০১৯৬৭৯৯৯৭৬৬.
Copyright © 2025 দেশপত্র. All rights reserved.